এককথায় সর্ষের মধ্যে ভূত। পুলিশের ইউনিফর্ম পরেই ডিউটি দিতেন ওই দুই কনস্টেবল। সরকারের নানা দফতরে কাজ করতেন অন্যরা। তাদের সঙ্গেই তলায় তলায় জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এবার তাদের চাকরি থেকে বরাখাস্ত করেছে জম্মু-কাশ্মীর সরকার। এদিকে তথাকথিত কোনও তদন্ত ছাড়াই এভাবে সরকারি কর্মীকে বরখাস্ত করার সুযোগ রয়েছে। দেশের সুরক্ষার স্বার্থে রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল মনে করলে তাঁদের বরাখাস্ত করতে পারেন। এদিকে মঙ্গলবারই সরকারি নির্দেশ জারি করে বলা হয়েছিল সরকারি কর্মীদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য যাচাই করে দেখা হবে। সংবিধান ও দেশের প্রতি সবরকম সম্মান ও আনুগত্য রেখেই সরকারি কর্মী, আধিকারিকদের কাজ করতে হবে বলেও নির্দেশ উল্লেখ করা হয়েছিল। তারপরেই এই বরখাস্ত। এমনকী ভিজিলেন্সের কাছ থেকে ছাড়পত্র না মিললে কোনও সরকারি কর্মীর পাসপোর্টও ইস্যু করা হবে না বলেও গত সপ্তাহে সরকারি নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত গত জুলাই মাসেও দুজন পুলিশ সহ ১১জনকে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে হিজবুল মুজাহিদিনের প্রধান সৈয়দ সালহাউদ্দিনের ছেলেরাও রয়েছেন। মূলত সরকারের কোনও বিভাগে কর্মরতদের মাধ্যমে কোনও তথ্য যাতে জঙ্গি সংগঠনের কাছে চলে না যায় সেব্যাপারেই আরও কড়া হচ্ছে সরকার।