‘নো ওয়ার -যুদ্ধ নয়’। রাশিয়ার রাষ্ট্রচালিত টেলিভিশন চ্যানেলে লাই💜ভ সম্প্রচার চলছিল। এমন সময়ে পোস্টার হাতে, সংবাদ পাঠকের পেছনে দাঁড়িয়ে পড়েন এক সাংবাদিক। আর তারপরেই গ্রেফতার করা হল সেই সাংবাদিককে।
রাশিয়ায় বেশিরভাগ বড় সংবাদমাধ্যমই রাষ্ট্রচালিত। সমালোচকদের মতে, পুতিনের পক্ষপাতিত্বই সেই চ্যানেলগুলির ধ্যানজ্ঞান। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পরিস্থিতিকেও তাই ব্যাখ্যা করা হচ্ছে ভিন্নভাবে। সেখানে সম্প্রচার করা হচ্ছে, শান্তি ൩রক্ষার্থেই এই বাহিনী পাঠিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। নব্য-নাৎসিদের শায়েস্তা করতে এই অভিযান। রুশ সাংবাদিকদের 'যুদ্ধ' শব্দটিরও ব্যবহার করতে 🐟বারণ করা হয়েছে।
রাশিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ার উপর ভুরি ভুরি নিষেধাজ্ঞা। ফলে সেখানে আমজনতার খবরের প্রধান উত্স এই চ্যানেলগুলিই। সমীক্ষা বলছে, রা༺⛦শিয়ার আমজনতার এক বড় অংশ যুদ্ধ সমর্থন করছেন। তাঁদের বেশিরভাগই এই সংবাদমাধ্যমগুলি থেকে প্রভাবিত।
কিন্তু, নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা ও মানবিকতার স্বার্থে যুদ্ধ বন্ধের আর্জি করেন এক সংবাদকর্মী। চাকরি খোয়ানো এবং বড়সড় শাস্তির ভয়কে উপেক্ষা করেই পোস্টার হাতে প্রতিবাদ করেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় সেই ভিডিয়ো𝓀।
সোমবার Vremya নামের একটি লাইভ সেগমেন্ট চলছিল। Vremya রাশিয়ার সবচেয়ে বেশি টিআরপি-র নিউজ শো-গুলির মধ্যে একটি। সেই সময়ꦛেই সাংবাদিক মেরিনা🦄 ওভস্যানিকোভা এক অ্যাঙ্করের পিছনে চলে আসেন। তাঁর হাতের পোস্টারে ইংরেজিতে 'নো ওয়ার' লেখা। নিচে, রুশ ভাষায়, 'যুদ্ধ বন্ধ করুন, ভুয়ো প্রচারে বিশ্বাস করবেন না, ওঁরা এখানে আপনাকে মিথ্যা বলছে।'
রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত চ্যানেল ওয়ান-এ অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হচ্ছিল। সঙ্গে সঙ্গে স্টুডিয়ো শট কেটে অন্য সিনে চলে যায়। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। মেরিনা🦂র নীরব চিত্কার ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে।
মেরিনা চ্যানেল ওয়ানের একজন সম্পাদক। শুধু লাইভে প্রতিবাদই নয়। সোশ্যাল মিডিয়াতেও মুখ খোলেন তিনি। 'টেলিভিশনের মাধ্যমে আমাকে অন🐬েক মিথ্যা বলতে হয়েছে। তার জন্য আমি লজ্জিত,' লেখেন তিনি। ভিডিয়ো বার্তা পোস্ট করেন তিনি।
এর অল্প পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো পোস্টের জন্য তাঁকে ১৪ ঘণ্টা ধরে টানা জেরা করা হয়। 🌱এরপর মঙ্গলবার প্রায় ২১ হাজার টাকা জরিমানা দেন তিনি। তবে টিভিতে 'নো ওয়ার' পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদের জন্য আলাদা মামলা রুজু হয়েছে। সেটার শাস্তি হিসাবে ১০ দিনের জেল হতে পারে মেরিনার। এখনও রায় দেওয়া হয়নি।
মেরিনা জানিয়েছেন, 'গত ২ দিন আমি ঘুমোইনি। আমার কাছের মানুষ বা পরিবারের সঙ্গেও কথা বলতে 𝔍দেওয়া হয়নি।♋'