ꦗ২০১৯ সালের এক মন্তব্যের জেরে ক্রমাগত রাজনৈতিকভাবে বিপদ বাড়ছে রাহুল গান্ধীর। কংগ্রেস নেতার সাংসদপদ সদ্য খারিজ হয়েছে লোকসভায়। এদিকে, যে মামলার শুনানির জেরে এই ঘটনা ঘটেছে, সেই মা🌞মলার বিচারপতিকে ঘিরে অনেকের মনেই কৌতূহল রয়েছে। গুজরাটের সুরাটের কোর্টের বিচারক এইচএইচ বর্মা রাহুলের বিরুদ্ধে ওই সাজা শোনান। এই বিচারক সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
মোদী পদবী ঘিরে ২০১৯ সালে এক আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে রাহুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির মামলা দায়ের করেন পূর্ণেশ মোদী। তাঁর দায়ের করা মামলার শুনানিতে কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১৫ হাজার টাকার জরিমানার। যে বিচারক এই মামলার রায় দেন তাঁর নাম হরিশ হাসমুখ ভাই বর্মা। তাঁর বয়স ৪৩ বছর। আইপিসি ধারা ৫০০ এর বিধি অনুযায়ী রাহুল গান্ধীকে ২ বছরের সাজা শুনিয়েছে সুরাটের ওই কোর্ট। জানা যায়, বিচারক এইচএইচ বর্মার জন্ম গুজরাটের ভদোদরাতে হয়। মহারাজা সয়াজি রাও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এলএলবির পড়াশোনা করেন। তিনি পাশ করার পর তিনি জুডিশিয়াল অফিসার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাবাও ছিলেন পেশায় আইনজীবী। জানা যায়, বাবার পেশাকে দেখেই তিনি আইনের পথে পড়াশোনা করতে উদ্বুদ্ধ হন। (মোদী পদবী মন্তব্যে রাহুলকে ঘিরে পারদ চড়তেই খুশব🅘ুর পুরনো টুইট তুল🌜ে তোপ কংগ্রেসের)
জানা যায়, পেশাগত দিক থেকে খুবই কঠিন মনের মানুষ এই বিচারপতি। গুজরাটের আইনজীবী মহলে কান পাতলে শোনা যায়, রুল বুক মেনে চলার ক্ষেত্রে ৪৩ বছর বয়সি এই বিচারপতি খুবই নিষ্ঠাবান। গুজরাট হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তিনি চটজলদি রাহুলের এই মামলায় রায় জানিয়ে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে রাহুল গান্ধীর ওই মন্তব্য নিয়ে দেশের বিভিন্ন কোর্টে দায়ের হয়েছে মানহানি মামলা। তবে সুরাট কোর্টে এই রায় আগে বের হল। আপাতত এই মামলায় রাহুলকে ১৫ হাজার টাকার জরিমানা ও ২ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। রাহুল ১ মাসের জামিনে জেলের বাইরে রয়েছ൲েন। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও জনপ্রতিনিধি ২ বছরের বা কার বেশি কারাদণ্ডের সাজা পেলে তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়। সেই নিয়মেই রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে।
এই খবরটি আপনি ๊পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক