জিয়া হক, সৌভদ্র চ্যাটার্জী
রাজ্যগুলির ব্যর্থতার কারণে আট কোটি পর꧒িযায়ী শ্রমিকের কাছে খাদ্যশস্য পৌঁছে দেওয়ার কেন্দ্রীয় সরকারের পরিক💛ল্পনা অনেকাংশেই বিফল হয়েছে। তথ্য বলছে, করোনার প্রকোপ কাটাতে রাজ্যগুলি এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে যে পরিযায়ীদের খাদ্যশস্য দেওয়ার কাজে কিছুটা ফাঁক থেকে যায়।
এদিন শ্রম বিষয়ক সংসদীয় স্থাܫয়ী কমিটির প্রধান বিজেডি-র বাহত্রুহারি মেহতাব জিজ্ঞেস 🦩করেন কেন্দ্র যে পরিযায়ীদের বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দিতে চেয়েছিল, তার কি হল। রেশন কার্ড নেই অনেক পরিযায়ী শ্রমিকের কাছে, সেই হিসাব থেকেই এই প্রকল্প শুরু করেছিল কেন্দ্র।
কেন্দ্র আত্মনির্ভর প্রকল্পের আওতায় মে থেকে জুনের মধ্যে আট কোটি পরিযায়ীকꦉে মাস পাঁচ কেজি খাদ্যশস্য বিনামূল্যে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। স্থায়ী কমিটিকে জানানো হয় যে আট লক্ষ টনের মধ্যে ছয় লক্ষ শস্য টন রাজ্যরা তুলেছে। কিন্তু অগস্ট ৫ অবধি মাত্র দুই লক্ষ টন বণ্টন করা হয়েছে ২.০৩ কোটি পরিযায়ীর কাছে। খাদ্যসচিব বলেন রাজ্যরা দেরি করছে শস্য বিলি করার ক্ষেত্রে। শুধাংশু পাণ্ডে বলেন যে বণ্টনের নির্দেশিকা ফের স্পষ্ট ভাবে দেওয়া হয়েছে যাতে রাজ্যরা দ্রুত এই কাজ সারে।
হিন্দুস্তান ♐টাইমসের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, মে মাসে মাত্র ১০.৯ শতাংশ খাদ্যশস্য বণ্টন করেছে। জুনে আরও কম, মাত্র ৭. ৫ শতাংশ চাল, ডাল বিলি করা হয়েছে।
যে সব পরিযায়ী খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় খাবার পাচ্ছেন না, তাদের খাদ্যশস্য বণ্টন করার ক্ষেত্রে খাতায় কলমে বেশি সময় লাগা উচিত না🌌। কারণ কেন্দ্র ও রাজ্য ঠিক করেছিল যে মহামারীর ফলে, বণ্টনের ক্ষেত্রে যে সব নিয়ম মানা হয়, সেগুলি শিথিল করা হবে। অর্থাৎ আধার লিংক✃িং ও কোনও দারিদ্র্য সম্পর্কিত তথ্য দিতে হবে না পরিযায়ীদের।
তথ্য বলছে এখনও প🎀র্যন্ত মাত্র ১.৪৭ কোটি পরিযায়ী বিনামূল্যে খাদ্য পেয়েছেন, যা টার্গেটের ১৮ শতাংশ মাত্র। প্রসঙ্গত, রেশন দোকান দিয়েই এই মাল বিলি করা হচ্ছে। অতীতে প্ল্যানিং কমিশনের সদস্য থাকা প্রতিথযশা অর্থনীতিবিদ অভিজৎ সেন বলেন যে যেখানে সম্ভব এই নথিহীন পরিযায়ীদের খাদ্য বিলি করা উচিত, সেটা বাস স্ট্যান্ড হোক বা কোয়ারেন্টাইন সে♕ন্টার । বাস্তব হল খাদ্যশস্য গুদামে পচছে, অন্যদিকে কষ্টে বেঁচে আছেন কোটি কোটি পরিযায়ী শ্রমিক ও তাদের পরিবার।