স্বাধীন ভারতের দীর্ঘতম বাজেট বক্তৃতা পড়ে শনিবারই রেকর্ড করেছেন 🅠কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। ২ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ১৬ সেকেন্ড অবিরাম বাজেট বক্তৃতা পড়ার পর অসুস্থ বোধ করেন তিনি। আর তখনই সংসদে ফেরে রাজনৈতিক সৌজন্যের পুরনো ছবি। সীতারমণের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নিজে থেকেই ছুটে যান তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার। যিনি পেশায় একজন চিকিত্সক।
শনিবারের বাজেট ভাষণে, কাশ্মীরি পদ্য থেকে তামিল কবি থিরুভাল্লুরের কবিতা, কালীদাস থেকে সিন্ধু সভ্যতা, কিছুই বাদ দেননি সীতারমণ। এসব করতে করতে কখন যে সময় কেটে গিয়েছে টের পাননি কেউ। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে ভাষণ পড়ার পর ক্রমশ ক্লান্তি বোধ করতে থাকেন সীতারমণ। তখনই প্রথম জল খাᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚন তিনি।
এর পর একাধিকবার সীতারমণকে বাকি ভাষণ সংসদের সামনে পঠিত বলে বিবেচনা করার আবেদন জানানোর অন🅰ুরোধ করেন লোকসভায় কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা অধীর চৌধুরী। কিন্তু সেই অনুরোধে সাড়া দেননি সীতারমণ।
এর পর সীতারমণকে বসে বাজেট ভাষণ পড়ার জন্য অনুরোধ করেন প্রধানমন্﷽ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। কিন্তু তাতেও কর্ণপাত করেননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। দাঁড়িয়েই ভাষণ পড়তে থাকেন তিনি। তখন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতীন গড়কড়িকে সীতারমণকে লজেন্স দেওয়ার অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী। সীতারমণকে লজেন্স দিয়ে যান আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কৌর। এর মধ্যে বার বার জল চাইতে দেখা যায় সীতারমণকে। শেষে বাজেট ভাষণের কয়েক পাতা পড়া বাকি থাকতেই তা সংসদে পঠিত ধরে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বসে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভার অধিবেশন।
এর পরই নিজের আসন ছেড়ে সীতারমণের দিকে ছুটে যান 𝔉কাকলি ঘোষদস্তিদার। তাঁর শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করেন তিনি। জানা যায় সীতারমণের রক্তচাপ কমে গিয়েছিল। তবে কখনো সংজ্ঞা হারাননি তিনি। কক্ষ ছাড়ার আগে তিনি গ্যালারিতে তাঁর মেয়ে ও অন্যান্য পরিজনদের দিকে হাতও নাড়ান।