এবার কড়া পদক্ষেপ করল কেরল সরকার। ইতিমধ্যেই ওমিক্রণ প্রজাতির করোনাভাইরাস বিশ্বকে রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে। সেখানে কেরল সরকার জানিয়ে দিয়েছে, যাঁরা করোনাভাইরাস টিকা নেননি তাঁদের বিনামূল্যে এই রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে না। অর্থাৎ গ্যাঁটের কড়ি খরচা করে চিকিৎসা ব্যবস্থা মিলবে। টিকাকরণে জোর দিতেই এই পদক্ষেপ বলে সরকারি সূত্রে খবর।করোনাভাইরাস নিয়ে প্রথমে সফল হয়েছিল কেরল। কিন্তু সেটাকে ধরে রাখতে পারেনি তারা। এই পরিস্থিতিতে রিভিউ মিটিং করেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তারপর তিনি বলেন, ‘যাঁরা টিকা নেননি তাঁদের চিকিৎসা খরচ সরকার বহন করবে না। আর যাঁরা টিকা নিতে অনিচ্ছুক এবং কোনও রোগ আছে বা অ্যালার্জির জন্য টিকা নেননি তাঁদের সরকারি শংসাপত্র দেখাতে হবে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার জন্য।’ এই কথা ঘোষণা হওয়ার পর যাঁরা টিকা নেননি তাঁরা তৎপর হয়েছেন বলে খবর।এই বিষযে তিনি আরও জানিয়েছেন, সরকারি কর্মী এবং শিক্ষক–শিক্ষিকারা যাঁরা টিকা নেননি তাঁদেরও শংসাপত্র দেখাতে হবে। আর টিকা না নিয়ে থাকলে প্রতি সপ্তাহে আরটি–পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে। এক্ষেত্রেও নিজের পকেটের টাকায় তা করতে হবে। আর সেই শংসাপত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।অফিসযাত্রীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে। এই নীতির ফলে স্কুল–কলেজের পড়ুয়ারা অনেক নিরাপদ থাকবে বলে মনে করেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। আর এই ওমিক্রণ রোগের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সতর্ক হতে বলেছেন। বিমানবন্দরে যাঁরা আসছেন তাঁদের কড়া পরীক্ষা করতেও বলেছেন তিনি। আজ থেকে বিশেষ টিকাকরণ কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে এই রাজ্যে।