রমেশ বাবুকেরলের মুখ্য়মন্ত্রীর প্রাক্তন মুখ্য়সচিব এম শিবশশাঙ্করকে দিনদুয়েক আগে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এবার তার রিমান্ড রিপোর্টে কেন্দ্রীয় এজেন্সি সোনা পাচারে অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশ ও অন্যান্য আধিকারিকের সঙ্গে তার হোয়াটস অ্য়াপ মেসেজকে সামনে আনল।ইডির দাবি, স্বপ্না সুরেশ ও শিবশশাঙ্করের মধ্য়েই চ্যাট হয়েছিল। সেখানে একাধিক তথ্য রয়েছে। লাইফ মিশন প্রজেক্ট সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গরিব মানুষদের বাড়ি দেওয়ার কথা। কিন্তু সোনা পাচারের তদন্তে নেমে ইডি এই প্রকল্পের অনিয়মের সন্ধান পায়।সেই চ্যাটে শিবশশাঙ্কর নাকি জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী স্বপ্নাকে কাজ দিতে খুব আগ্রহী। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে বলেছেন তোমার জন্য় কাজ ঠিক করতে। কিন্তু সেটা কিছুটা অধস্তন হবে। কিন্তু তোমার বেতন আগের পজিশন থেকে ডবল হয়ে যাবে। তবে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা এনিয়ে যাচাই করতে পারেনি।অন্য়দিকে স্বপ্নাকে সতর্ক করে তিনি জানিয়েছিলেন, খুব সাবধানে থাকবে। অন্যরা ভুল করলেও তোমার উপর চাপিয়ে দিতে পারে। এনিয়ে ইডির তরফে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি অসহযোগিতা করেছিলেন বলে অভিযোগ। এমনকী অভিযোগ প্রকল্পের ঘুষ হিসাবে আইফোনও উপহার পেয়েছিলেন ওই আধিকারিক।এদিকে ২০২০ সালেই প্রথম সোনা পাচারের অভিযোগ সামনে আসে। প্রথম দিকে মুখ্যমন্ত্রী বলতেন স্বপ্না সুরেশকে চিনি না। পরে বলতেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহি কনস্যুলেটের অনুষ্ঠানে বার কয়েক তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তবে স্বপ্না পরে জানিয়েছিলেন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে যেতেন। তাঁর পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সহ কয়েকজন তাঁকে বলির পাঠা করেছেন। সিএমের ব্যক্তিগত সচিবের বিরুদ্ধেও তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন।এদিকে ২০১৮ সালে ত্রিশূরে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি তৈরির জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা যে টাকা পাঠিয়েছিল সেই ফাণ্ড অন্যখাতে ব্যয় করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরপরই লাইফ মিশন প্রজেক্টে নানা অনিয়মের অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। সোনা পাচারের তদন্তে নেমে ইডি স্বপ্নার লকারের মধ্যে দুকেজি সোনা ও এককোটি টাকা পেয়েছিল। পরে স্বপ্না ইডিকে জানান, আন্তর্জাতিক সংস্থা রেড ক্রিসেন্টের সঙ্গে একটি ডিলের কমিশন হিসাবে ওই টাকা এসেছিল। শিবশঙ্কর ওই কমিশনের টাকা তার কাছে রাখতে দিয়েছিলেন। এরপরই কেন্দ্রীয় এজেন্সির রাডারে চলে আসে শিবশশাঙ্করের নাম।বিরোধী নেতা ভিডি সাথীসান বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর হাত পরিষ্কার থাকলে তিনি সিবিআইকে ভয় পাচ্ছেন কেন? সিপিএম এনিয়ে এখনও মন্তব্য করেনি।