বেশ কয়েকদিন ধরেই অমৃতপাল সিংয়ের খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে পঞ্জাব পুলিশ। তবে অবশেষে মোগা থেকে অমৃতপালকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার সকালে এমনই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানেই অমৃতপাল ইস্যুতে পঞ্জাব পুলিশের প্রশংসা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছিলেন, যেকোনও সময় ধরা পড়তে পারেন অমৃতপাল সিং। এই আবহে পঞ্জাবের মোগা জেলার পুলিশ অমৃতপালকে গ্রেফতার করল। এর আগে অমৃতপাল সিংকে গ্রেফতার করতে বিশাল অভিযান চালিয়েছিল পঞ্জাব পুলিশ। তবে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালাতে সক্ষম হয়েছিল অমৃতপাল। এরপরও বিভিন্ন জায়গায় অমৃতপালকে দেখা গিয়েছিল। তবে তাঁকে ধরতে পারছিল না পুলিশ। মোট ৩৬ দিন ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছিল অমৃඣতপাল। অবশেষে তাকে ধরতে সক্ষম হল পুলিশ।
এদিকে গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, 'ওয়ারিস 🐲পাঞ্জাব দে' গোষ্ঠীর নেতা অমৃতপাল সিং একজন 'আইএসআই এজেন্ট'। পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা তাকে ভারতে নিয়ে এসেছে খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন গড়ে তুলতে। দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়াই তার মূল উদ্দেশ্য। এর আগে গত মার্চ মাসে অমৃতপালকে ধরার জন্য অভিযান শুরু করে পঞ্জাব পুলিশ। তার সহযোগীদের গ্রেফতার করতে সমর্থ হলেও অমৃতপাল নিজে নাটকীয় ভাবে পু🎀লিশকে বোকা বানিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনার পর ঘিরে ফেলা হয়েছিল 'ওয়ারিস পঞ্জাব দে'-র প্রধানের গ্রাম জাল্লুখেরা। পঞ্জাবের একাধিক জেলায় জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, অমৃতপাল সিং একজন অনাবাসী ভারতীয়। সে দুবাইতে ট্রাক ড্রাইভার হিসাবে কাজ করত। সেখান থেকেই আইএসআই এজেন্ট হিসেবে তাকে নিয়োগ করা হয়েছিল। সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকার সময়ই অমৃতপাল পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা সংস্পর্শে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে। তাকে বলা হয়েছিল ধর্মের নামে নির্বোধ তরুণ শিখদের উদ্ব﷽ুদ্ধ করতে। একটা বোঝাপড়া হয়েছিল যে আইএসআই টাকা খরচ করবে এবং খালিস্তানের নামে শিখদের উত্তেজিত করবে অমৃতপাল। খালিস্তানপন্থী স্বঘোষিত ধর্মগুরু অমৃতপাল সিং নিজের সেনা তৈরি করছিল বলে জানা গিয়েছে। নিষিদ্ধ খালিস্তান টাইগার ফোর্সের মতো 'আনন্দপুর খালসা ফোর্স' তৈরি করছিল সে। 'ওয়ারিস পঞ্জাব দে' সংগঠনের প্রধান মানব বোমা স্কোয়াডও তৈরি করছিল বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, নিজের 'নেশামুক্তি কেন্দ্র' এবং এক গুরুদ্বারে অস্ত্র মজুত করছিল অমৃত🐼পাল। সেখানে যুব সমাজকে খালিস্তানি বিচ্ছিনতাবাদের পাঠ পড়ানো হত। মজুত অস্ত্র সহকারে সেই যুবকদের 'আত্মঘাতী' হামলার জন্য তৈরি করছিল অমৃতপাল সিং। আর এই সবই অমৃতপাল করছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর মদতে।