তিনদিন ধরে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে চারজন। সেই অভিযোগ জানাতে থানায় পৌঁছালে স্টেশন হাউজ অফিসারও নির্যাতিতাকে যৌন নিগ𒅌্রহ করে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় নির্যাতিতা নাবালিকার চোখে এখন ঘুম নেই। অবশ্য সেটাই স্বাভাবিক। নির্যাতিতার সঙ্গে তাঁর কাউন্সেলর♎ কথা বলে জানান, ও ঘুমাতে পারছে না, খেতে পারছে না। ও আতঙ্কিত রয়েছে। সব আশা যেন শেষ হয়ে গিয়েছে। নির্যাতিতার সঙ্গে কাউন্সেলর কথা বলে সেই নাবালিকার অভিজ্ঞতার কথা জানতে পেরেছেন।
কাউন্সেলর জানান, ভোপালে তিনদিন ধরে চারজন একটি ব্রিজের তলায় ধর্ষণ করে তাকে। এরপর উত্তরপ্রদেশের ললিতপুরে এসে পুলিশকে ঘটনা অভিযোগ জানাতে গেলে সেখানেও যৌন নিগ্রহের শিকার হতে হয় তাকে। ২২ এপ্রিল চারজন লোক প্রলোভন দিয়ে ভোপালে নিয়ে য♔ায় নাবালিকাকে। এর মধ্যে একজন তার আত্মীয় হয়। সেখানে কোনও অভিযুক্তেরই থাকার কোন⛎ও জায়গা ছিল না। দিনের বেলায় তারা ঘুরে বেরাত। রাতে পালা করে ব্রিজের তলায় ধর্ষণ করা হত নাবালিকাকে।
আরও পড়ুন: বিমান বাতিল অথবা দেরি হলে যাত্রীদের দিতে হবে ক্ষতিপূরণ, ফোন নম্বর ঠিক⛄ দিন
নাবালিকার অভিযোগ, ধর্ণকারীদের একজন বন্দুক দেখিয়ে তাকে ভয় দেখিয়েছিল যে সে যদি প্র🍨তিরোধ করে তাহলে তার মা বাবাকে মেরে ফেলা হবে। এরপর ২৬ এপ্রিল পালি থানা এলাকায় তাঁকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয় এবং অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এরপর ললিতপুরে পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়েক করাতে গেলে এসএইচও তাঁর চেম্বারে ধর্ষণ করে সেই নাবালিকা🐽কে।
গত ৩০ এপ্রিল কাউন্সেলরের সঙ্গে♌ সেই নাবালিকা পুলিশ সুপার নিখিল পাঠকের কাছে যান। ৯০ মিনিট ধরে এসপির সঙ্গে কথা হয় তাদের। এরপরই এসএইচও সহ ললিতপুর পুলিশ স্টেশনের বাকি সব কর্মীদেরই বরখাস্ত করা হয়। এদিকে গণধর্ষণের অভিযুক্তদের গ্রেফꦗতার করা হয়। এসএইচও তিলকধারী, চন্দন, রাজ ভান, হরি শঙ্কর মহেন্দ্র চৌরাসিয়া এবং নির্যাতিতার আত্মীয় গুলাব বাই আহিরওয়ারের বিরুদ্ধে ৩৬৩, ৩৭৬, ৩৭৬বি, ১২০বি এবং পকসো আইনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।