লিভ-ইন সম্পর্কগুলি জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে এবং সামাজিক নৈতিকতার ধারণার পরিবর্তে সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী এটিকে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার প্রেক্ষিতে দেখা দরকার। একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমনই পর্যবেক্ষণ দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।আন্তঃধর্মীয় লিভ-ইন করা দুই দম্পতি দুটি পৃথক পিটিশন দাখিল করে অভিযোগ করেন যে মহিলার পরিবার তাদের দৈনন্দিন জীবনে হস্তক্ষেপ করছে। দম্পতির দায়ের করা সেই পিটিশনের প্রেক্ষিতে চলা শুনানির সময় বিচারপতি প্রীতঙ্কর দিবাকার এবং আশুতোষ শ্রীবাস্তবের একটি বেঞ্চ এই পর্যবেক্ষণ দেন, লিভ-ইন সম্পর্কগুলি জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। আবেদনকারীরা হলেন কুশিনগরে বসবাসকারী শায়রা খাতুন ও তাঁর পার্টনার। অপর একটি আবেদন দাখিল করেছেন মিরাটে বসবাসকারী জীনাত পারভিন এবং তাঁর পার্টনার। উভয় ক্ষেত্রেই পার্টনারের নাম উল্লেখ করা হয়নি আবদনে। শায়রা ও জীনাত, দুই জনেরই অভিযোগ, তাঁদের পরিবার তাঁদের জীবনে হস্তক্ষেপ করছে।জীনাত পারভিন ও তাঁর পার্টনার উভয়ই প্রাপ্তবয়স্ক। এবং তাঁরা বিগত একবছর ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে রয়েছেন। এদিকে শায়রা খাতুন ও তাঁর পার্টনারও প্রাপ্তবয়স্ক এবং তাঁরা বিগত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে রয়েছেন। আবেদনকারীদের অভিযোগ, তাঁরা এই বিষয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হলেও পুলিশ কোনও সাহায্য করেনি।