গণনা চলছে বলে তো নেশা থামিয়ে রাখা যায় না। আর তাই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে ডোন্ট কেয়ার করে সঙ্গেই রাখা হল নেশার দ্রব্য। রাজনৈতিক নেতা–নেত্রীদের পকেট পরীক্ষা করতেই তা বেরিয়ে এল। গুটখা, পান, বিড়ি, সিগারেট, সবই আছে। তবে তা শুধু পকেটে রাখা হয়নি। যাতে ধরা না পড়ে তাই চুলের মধ্য়ে, তোয়ালে জড়িয়ে নেশার দ্রব্য নিয়ে ꧃আসা হয়েছে। তবে শেষরক্ষা হয়নি। দেহ পরীক্ষা করতেই ধরা পড়েছেন সকলে। জনপ্রতিনিধিরাই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে অমান্য করলেন! তাঁদের সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে পান–গু꧟টখা। রাজনৈতিক দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে এবার উঠল নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ লঙ্ঘনের অভিযোগ।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? আজ, রবিবার চার রাজ্যের ভোট গণনা হয়। এই গণনাকেন্দ্রে নিরাপত💝্তা ছিল দ্বিগুণ। ♍যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। সবার নজর ছিল চার রাজ্যের ফলাফলের দিকে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে প্রচণ্ড কড়াকড়ি ছিল। আর তাই গণনাকেন্দ্রে ঢোকার আগে নেতা–নেত্রীদেরও দেহ পরীক্ষা করা হয়। মধ্যপ্রদেশের এক গণনাকেন্দ্রে তখনই দেখা যায়, একাধিক নেতা–নেত্রী, কর্মীদের পকেট থেকে মিলল পান, গুটখা, সিগারেট–সহ নানা নেশার দ্রব্য। এসব নেশার দ্রব্য নিয়ে গণনাকেন্দ্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এই নির্দেশ এসেছিল খোদ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। আর সেটাই মানা হল না।
তারপর ঠিক কী ঘটল? গণনাকেন্দ্র এবং রাজনৈতিক নেতা–নেত্রীদের নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। এই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়, গণনাকেন্দ্রে যদি কোনও প্রার্থী বা নেতা–নেত্রী বা কর্মী উপস্থিত হন সেক্ষেত্রে নেশার দ্রব্য রাখা যাবে না। ইলেকট্রনিক ডিভাইস বহনও নিষিদ্ধ। কিন্তু রবিবার দেখা গেল, মধ্যপ্রদেশে একাধিক প্রার্থী থেকে কর্মীরা নির্বাচন কমিশনের জারি করা নির্দেশিকাকে ফুঁ মেরে উড়িয়ে দিলেন। শরী๊র পরীক্ষা করার সময় মেলে বিপুল পরিমাণ নেশার দ্রব🦋্য়। ধরা যাতে না পড়েন তাই আবার জুতোর মধ্য়ে লুকিয়ে, অন্তর্বাসে লুকিয়ে নেশার দ্রব্য এনেছিলেন। তবে নেশার দ্রব্য নিয়ে সবাই ধরা পড়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘বিজেপির সাফল্য নয়, এটা কংগ্রেসের ব্যর্থতা’, তি𝓰ন রা🌄জ্যের ফলাফল নিয়ে প্রতিক্রিয়া কুণালের
আর কী জানা যাচ্ছে? এই নেশার দ্রব্য নিয়ে ধ𝕴রা পড়ার বিষয়টি সামনে আসে যখন মধ্যপ্রদেশের অশোকনগর জেলার তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র চান্দেরি, অশোকনগর এবং মুঙ্গওয়ালিতে ভোট গণনা চলছে। এই গণনা কেন্দ্রে পৌঁছনো নেতা–কর্মীদের পকেট ও শরীর পরীক্ষা করতেই সিগারেট এবং অন্যান্য নেশার দ্রব্য বেরিয়ে আসে। আর তার পরিমাণ দেখে চমকে ওঠেন নিরাপত্তাকর্মীরা। কেউ আবার চুলের মধ্য়ে 🍰লুকিয়ে, অন্তর্বাসে লুকিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন নেশার দ্রব্য। যা পরীক্ষা করার সময় সকলেই বমাল ধরা পড়লেন।