নী🍸তি আয়োগের বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন ꦆমমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর অভিযোগ যে তিনি বলছিলেন সেই সময় মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আর মমতার এই দাবি নিয়ে মুখ খুললেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী।
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের কাছে অধীর বলেন,' নীতি আয়োগের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বলছেন তা পুরো মিথ্যে কথা। কারণ রাজ্যের কাউকে কিছুকে বলার সুযোগ দেবেন না এটা কেমন যেন তাজ্জব লাগছে। অপর কথা হল ওখানে কী কী হবে তা সব আগে থেকে ঠিক করে রেখেছিলেন মমতা। তিনি গেলেন, বললেন আর এরপর বেরিয়ে গেলেন আর বললেন আমায় বলতে দিল না, সব তিনি আগে থেকে ঠিক করে রেখেছিলেন। সব স্ক্রিপ্ট আগে থেকে ঠিক করে রেখেছিলেন। ওখানে গিয়ে কী কী করবেন সব আগে থেকে ঠিক করে রেখেছিলেন। আসলে রাহুল গান্ধী যেভাবে বিপক্ষের নেতা হয়ে উঠছেন , রাহুল গান্ধীর উপর সাধারণ মানুষ যেভাবে আস্থা রাখছেন তাতে হিংসা হচ্ছে । কারণ তিনি সবসময় ভাবেন যে তার উপরে কেউ হতে পারে না। গোটা দেশে রাহুলকꦅে নিয়ে যে চর্চা হচ্ছে তাতে জ্বলন হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। '
নীতি আয়োগের বৈঠক কাণ্ডে একেবারেဣ জোরালো আক্রমণ করলেন অধীর চৌধুরী। একদিকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে নীতি আয়োগের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাইক কেউ অফ করে দেয়নি। তিনি পুরো মিথ্য়ে কথা বলছেন। কার্যত সেই সুরে সুর মেলালেন অধীর। তাঁর দাবি পুরোটা আগে থেকে ঠিক করা ছিল।
বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসার পরে মমতা কী বলেছিলেন?
মমতা বলেন, আপনাদের আমি পরিষ্কারভাবে বলছি যে বাজেটে আমাদের বঞ্চনা করেছಞেন। আপনারা বাংলার সমস্ত উন্নয়নের প্রজেক্ট বন্ধ করে দিয়েছেন। আপনারা কোনও বিরোধী দলের রাজ্যকে কোনও সুযোগ দেন না। তিন বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের (টাকা) বন্ধ রেখেছেন। প্রধানওমন্ত্রী আবাস যোজনা বন্ধ। সমস্ত কিছু বন্ধ করে রেখেছেন। এমনকী খাদ্যের ভর্তুকির টাকাও দেন না।’
বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে বাইরে উপস্থিত থাকা সাংবাদিকদের সামনে রীতিমতো ক্ষোভের সুরে মমতা বলেন, ‘একটুখানি বলার পরই আ✅মার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হল। আমি বললাম যে কেন বন্ধ করলেন?’
মমতা বলেন, আমি এই বৈঠকে যোগ দিয়েছি।༒ সেটার জন্য আপনাদের আনন্দিত বোধ করা উচিত। সেটা না করে নিজের দলের (মুখ্যমন্ত্রীদের) বেশি সময় দিচ্ছেন। বিরোধীদের মধ্যে শুধুমাত্র আমি আছি।🌳 আর আপনারা আমার মাইক বন্ধ করে দিলেন! আপনারা আমার মাইক বন্ধ করে দিচ্ছেন। আপনাদের এই বঞ্চনা আমি মানি না। তাই মনে রাখবেন, আমি চললাম।’