স্ত্রীর সঙ্গে বসচ𓂃া। তার জেরে ভয়ঙ্কর কাণ্ড করে বসল ব্যক্তি। নিজের ৩ সন্তানকে একের পর এক কুয়োয় ফেলে দিয়ে হত্যা করল। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের জালনা জেলার ডোমেগাঁও গ্রামে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে দুই মেয়ে এবং এক ছেলে। অভিযুক্তের নাম সন্তোষ ধোন্ডিরাম তাকওয়ালে। সন্তানদের খুনের পর নিজেই থানায় ফোন করে পুলিশকে খবর দেয় ওই ব্যক্তি। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: সন্তান নিজের নয়, সন্ဣদেহের বশে ৮ মাসেꦐর শিশুকে থেঁতলে খুন করল বাবা
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার আম্বাদ তহসিলের ডোমেগাঁও গ্রামে। সন্তোষ তার ছেলে সোহম (১২) এবং কন্যা শিবানী (৮) এবং দীপালিকে (৭) কুয়োয় ফেলে দেয়। আম্বাদ থানার অফিসার রঘুনাথ নাচন জানান, সন্তোষের দুটি বিয়ে। মৃত বাচ্চারা সকলেই সন্তোষের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সন্তান। প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারা যাওয়ায় সে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিল। এই ঘটনায় পুলিᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚশ একটি মামলা নথিভুক্ত করেছে। এই খুনের পিছনে কী কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় সন্তোষ তার শ্য൩ালক এবং স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্ররোচনার অভিযোগ তুলেছে।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত সন্তোষ ছত্রপতি সম্ভাজ𝓰ি নগরের কাচনের গ্রামের বাসিন্দা। একটি হোটেলে কাজ করত। শনিবার বাচ্চাদের নিয়ে ডোমেগাঁও গ্রামে গিয়েছিল। সেখানেই সন্তানদের খুন করে সে।
পুলিশ☂ সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে একটি খুনের অভিযোগ ছিল সন্তোষের বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালে কারমাদ এলাকায় একজন মহিলাকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। প্রায় ৪ বছর জেলে থাকার পর ২০২৩ সালে তাকে জামিন দিয়েছিল আদালত। তার স্ত্রী ডোমেগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। আরও জানা গিয়েছে, সন্তোষের সন্দেহ ছিল সে জেলে থাকার সময় স্ত্রী অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। সেটা জানার পর থেকেই মানসিকভাবে অশান্তিতে ছিল সন্তোষ।
পুলিশের এক🧸 আধিকারিক জানান, সন্তোষ জেলে থাকার সময় তার স্ত্রী পরিবারকে আর্থিকভাবে সমর্থন করার জন্য আখ কাটার কাজ শুরু করেছিলেন। তবে জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থাকা নিয়ে সন্দেহের বশে স্ত্রীর সঙ্গে তার প্রায়ই ঝগড়া হত। জানা গিয়েছে , শনিবারও একই বিষয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। যার পরে তিনি তার সন্তানদের নিয়ে ডোমেগাঁও চলে যায়। তারপরেই এই ঘটনা।