একেবারে ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের নাকের ডগায় ড্রপ বক্স খুলে চেকের সঙ্গে সংযুক্ত আরটিজিএস ফর্মগুলিকে বদলে ফেলত 💖এক ব্যক্তি। অভিযোগ এমনটাই। সিসি ক্য়ামেরার ফুটেজ দেখে সেই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করল পুলিশ। মুম্বইয়ের আন্ধেরির বাসিন্দা ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু ঠিক কীভাবে এই নিখুঁত অপারেশন চালাত ওই ব্যক্তি?
পুলিশ সূত্রে খবর,অভিযুক্তের নাম আনওয়ার খান। সে মাঝেমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ঢুকে চেকের ড্রপ বক্স খুলে ফেলত। এরপর চেকের সঙ্গে সংযুক্ত আরটিজিএস ফর্মটি বদলে অন্য় অ্য়াকাউন্ট নম্বর যুক্ত আরটিজিএস ফর্ম যুক্ত করে দিত। চেকের সঙ্গে মিল করে সইও করে দিত। এদিকে বালাজি ইঞ্জিনিয়ারিং স্টিল কর্পো𒀰রেশন গত ১২ই꧋ জানুয়ারি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় যে তারা ৩৫ লাখ টাকার একটি চেক ড্রপ বক্সে ফেলেছিলেন। অন্য অ্যাকাউন্টে সেই টাকা পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ৩ লাখ টাকা তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নিয়েছে।
অভিযোগ পেয়ে ব্যাঙ্ক কর্মীদের সঙ্গেও পুলিশ কথা বলে। তাঁরা পুলিশকে জানান, একটু ভুল হয়ে গিয়েছে। আরটিজিএস ফর্মে যে অ্যাকাউন্ট নম্বর ছিল সেখানে তিন লাখ টাকা পাঠানো হয়েছে।এদিকে সেই আরটিজিএস 𒊎ফর্ম যাচাই করে পুলিশ দেখে তার সঙ্গে বালাজির দেওয়♒া অ্য়াকউন্ট নম্বর মিলছে না। এরপর সিসি ক্যামেরা যাচাই করে পুলিশ দেখে ১২ই জানুয়ারি দুপুর ১টা থেকে ৩টের মধ্যে ড্রপ বক্স খুলে এক ব্যক্তি চেকের সঙ্গে থাকা আরটিজিএস ফর্ম বদলে ফেলছে। কিন্তু ব্যাঙ্ক খোলা থাকা সত্ত্বেও সে কীভাবে এই কাজ করল? তবে কি ব্যাঙ্কের লোকজনও এর সঙ্গে জড়িত? তদন্তে করে দেখছে পুলিশ।