স্ত্রীর চা বানাতে হয়েছিল দেরি। তার জেরে ক্রোধ কার্যত তুঙ্গে ওঠে স্বামীর। শেষে স্বামীর প্রবল ক্ষোভের জেরে স্ত্রীকে তরোয়ালের কোপে কুপিয়ে খুন করে স্বামী, এমনই অভিযোগ রয়েছে ধরমবীর সিংয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনা উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের ফয়জলগঞ্জ গ্রামের। শুধু যে স্ত্রী তা নয়, নিজের সন্তানদের ওপ♔রেও হামলা চালান ওই ব্যক্তি।
জানা গিয়েছে, ৫২ বছর বয়সী স্ত্রীকে তলোয়ার দিয়ে খুনের অভিযোগ রয়েছে ধরমবীর সিংয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনার সূত্রপাত বাড়িতে চা করাকে কেন্দ্র করে। স্ত্রীয়ের চা তৈরি করতে দেরি হয়েছিল। আর তার জন্যই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন ধরমবীর। মুহূর্তে তাঁর দিকে তেড়ে আসেন তাঁর স্বামী ধরমবীর। তলোয়ার নিয়ে তিনি স্ত্রীকে কাটতে উদ্যত হন। স্ত্রী সুন্দরী দেবী সেখানেই স্বামীর নারকীয় অত্যাচারে মৃত্যুুর কোলে ঢোলে পড়েন। এদিকে, বাবাকে এমন অবস্থায় দেখে মাকে তড়িঘড়ি বাঁচাতে উদ্যত হন ধরমবীরের সন্তানরা। উল্লেখ্য, মাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান সন্তান রামবীর, রাখী, সুনীতা, লক্ষ্মীরা। এদিকে ঘটনার পর পেশায় সবজি বিক্রেতা ধরমবীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গ্রামে গ্রামে ঠেলা গাড়ি নিয়ে সবজি বিক্রি করেন ধরমবীর। তবে তাঁ কাছে তলোয়ার কোথা থেকে এল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, ঠেলা গাড়িতে সবজি তোলার সময়ই স্ত্রীকে চা বানাতে নির্দেশ দেন স্বামী। 'নির্দেশ' পেতেই তড়িঘড়ি রান্না ঘরে গিয়ে উনুনে আগুন ধরান তিনি। এদিকে, চা বানানো নিয়ে দুজনের মধ্যে অনেক ক্ষণ ধরে ঝগড়া হতে থাকছিল। তখনই দেখা যায়, ওই পরিস্থিতি। ঝগড়া বাড়তে থাকে। এরপর স🦂্ত্রীকে ঘরে নিয়ে চলে যান স্বামী। তারপরই দেখা যায় মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয় সুন্দরী দেবীর দেহ।
সূত্রের খবর, স্ত্রীর বুকে তলোয়ার বসিয়ে খুন করে স্বামী। শুধু যে বুকে তলোয়ার বসিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে, তা নয়। তারসঙ্গে স্ত্রীর সারা গায়ে ১২ থেকে ১৫ টি ক্ষতস্থানের চিহ্ন রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, তলোয়ার দিয়েই 🌞সেগুলিতে ক্ষত করা হয়েছে। এদিকে, বাবার এহেন 🉐কুকীর্তি ধরে ফেলে সন্তানরা। সন্তানদেরও মারধর করে বলে অভিযোগ রয়েছে ধরম সিংয়ের বিরুদ্ধে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা পুলিশে ফোন করেন। তারপরই ধরমবীর সিংকে গ্রেফতার করা হয়।