কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রক গাড়ি নির্মাতাদের পিছনের সিটবেল্টের জন্য অ্যালার্ম সিস্টেম ইনস্টল করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করার জন্য একটি খসড়া নিয়ম জারি করেছে। এই খসড়া নিয়মের বিষয়ে আম জনতা নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন। জꦑনগণের মতামত জানানোর শেষ তারিখ ৫ অক্টোবর।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এক গাড়ি দুর্ঘটনায় গত হন টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাই♏রাস মিস্ত্রি। পুলিশি তদন্তে জানা যায়, সাইরাস মিস্ত্রি গাড়ির পিছনের সিটে ছিলেন। সিটবেল্ট পরে ছিলেন না তিনি। সিটবেল্ট না পরায় গুরুতরভাবে জখম হন সাইরাস মিস্ত্রি। আর তার পরেই গাড়ির পিছনের সিটে সিটবেল্ট পরার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে উঠ๊ছে প্রশ্ন। শিল্পপতির মর্মান্তিক প্রয়াণের পর, এই বিষয়ে মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি। তিনি জানিয়েছিলেন, গাড়ির পিছনের আসনে বসলেও সিট বেল্ট পরা বাধ্যতামূলক করতে কঠোর আইন আনবে সরকার।
নীতিন বলেছিলেন, ‘লোকে ভাবেন পিছনের সিটে বেল্ট লাগে না। এটাই সমস্যা। আমি এই দুর্ঘটনাটি নিয়ে কোনও মন্তব্য করছি না। কিন্তু আমাদের এটা বোঝা দরকার যে, সামনের সিটের মতোই, পেিনের সিটে বসলেও সিটবেল্ট পরা উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কথা ছেড়েই দিন। আমি চারজন মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িতে চড়েছি, নাম জিজ্ঞেস করবেন না। আমি গিয়ে সামনের সিটে বসলাম। দেখলাম, একটি ক্লিপ এমনভাবে লাগানো, যাতে বেল্ট না পরলেও কোনও শব্দ না হয়। আমি তবুও চালককে বেল্ট কোথায় তা জিজ্ঞেস করে পরে নিয়েছিলা🌜ম।’
এদিকে ই-কামার্স ওয়েবসাইটগুলিকে ইতিমধ্যেই সরকার নির্দেশ পাঠিয়েছে যে গাড়ির সিট বেল্ট অ্যালার্ম স্টপার বিক্রি করা যাবে না। এবার নয়া নিয়মের খসড়াও তৈ꧂রি করে ফেলল কেন্দ্রীয় সরকার। দ্রুত এই নিয়ম কার্যকর করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে পুলিশ গাড়ি থামিয়ে চেকিং করে দেখছে যে সবাই সিটবেল্ট পরেছেন কি না। 🌟সিটবেল্ট না পরা থাকলে ১০০০ টাকা করে জরিমানা দিতে হচ্ছে।