সোমবার থেকে সমস্ত ধর্মস্থান খুলে দেওয়ার সরকারি অনুমতি পাওয়া গেলেও করোনা সংক্রমণে লাগাম দিতে মসজি🌞দ ও গির্জা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন কেরালার মুসলিম ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা।
তিরুবনন্তপুরমের পালায়ম জামা মসজিদ এবং কোঝিকোড়ের মুহিউদ্দিন মসজিদ এখনই ভক্তজনের জন্য না খোলার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। তাতে উদ্বুদ্ধ হয়ে কেরালার উপকূলবর্তী এলাকায় আরও বেশ কিছু মসজিদ🎃 আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্ত💖ৃপক্ষ।
এই উদাহরণ সামনে রেখেই কেরালার সবচেয়ে বিত্তবান খ্রিস্টান সম্প্রদায় অঙ্গমল্লি-এꦰর্নাকুলম ডায়োসিজ গির্জা♍ খোলার বিষয়ে তাড়াহুড়ে করবেন না বলে ঠিক করেছেন। নিজেদের এই সিদ্ধান্তের সপক্ষে চিকিৎসকদের সতর্কবাণী উদ্ধৃত করছে গির্জা কর্তৃপক্ষ।
জুলাই মাসে ভারতে করোনা সংক্রমণের হার সর্বাধিক হতে পারে বলে আগেই সতর্🌜ক করেছিলেন এইমস চিকিৎসকরা। দেশের সাম্প্রতিক সংক্রমণের পরিসংখ্যান ও গতিপ্রকৃতি তাঁদের সেই পূর্বাভাসের দিকেই ইঙ্গিত করছে। সেই কারণে ধর্মস্থানে বিপুল জনসমাবেশ এড়াতে আপাতত গির্জা না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডায়োসিজ কর্তৃপক্ষ𝓀।
সুধু তাই নয়, কেরালার এই খ্রিস্টান সম্প্রদায়ভুক্ত কমপক্ষে ৭০% যাজকের বয়স ৬৫ পেরিয়েছে। সরকারি করোনা বিধি অনুযায়ী, ১০ বছরের নীচে শিশু এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়েসিদের ম🦄ধ্যেই করোনা সংক্রমণের বার সবচেয়ে বেশি। ডায়োসিজের বিশপদের অধিকাংশেরই বয়স সত্তর ছুঁইছুঁই বলে ঝুঁকি নিꦯতে চাইছে না চার্চ কর্তৃপক্ষ।
কার্ডিনাল মার ব্যাসেলোই ক্লিমিস সরকারের উদ্দেশে আবেদন জানিয়েছেন যে, সমস্ত ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাও🥂য়ার পরেই যেন গির্জাই সব বয়সের ভক্তদের আসার অনুমতি দেওয়া হয়।
চিকিৎসক তথা স্বাস্থ্য আন্দোলনকারী সালফি এম নুহুর দাবি, ‘আমরা সকলেই ধর্মপ্রাণ। কিন্তু এখন যুদ্ধে🔜র সময়। এখন ঝুঁকি নেওয়া উচিত নয়। সকলের চেয়ে বিশ্বাসীদের সুরক্ষিত করা🌃র ব্যাপের বেশি দায়িত্ব ধর্মীয় নেতাদের।’