শনিবার ভোরে বিহারের একটি প্রত্যন্ত রেলস্টেশনের দখল নিল মাওবাদীরা। ভয়াবহ এই ঘটনার জে🌳রে দিল্লি হাওড়া মেইন লাইনে প্রায় ২ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। সূত্রের খবর এদিন ভোররাতে বিহারের জামুই জেলার চৌরা স্টেশনকে নিজেদের আয়ত্তে এনে ফেলে মাওবাদীরা। জামুইয়ের পুলিশ সুপার প্রমোদ কুমার মণ্ডল বলেন, ‘আধাসামরিক বাহিনী ঘটনাস্থলের দিকে গিয়েছে। কিন্তু পাহাড়ি ও জঙ্গল সংলগ্ন এলাকা হওয়ার সুবাদে মাওবাদীরা দ্রুত 𝓡এলাকা ছেড়ে পালানোর সুযোগ পেয়েছে। জেলা সদর থেকে জায়গাটি প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।’
এক রেল আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই বাহিনী আচমকাই স্টেশনে চলে আসে। বিভিন্ন স্টেশনে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনকে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার জন্য তারা বাধ্য করেছিল। ভোররাত ৩টে ২০ থেকে সকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ট্রেন পরিষেবায় মারাত্মকভাব꧋ে বিঘ্ন ঘটে।রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রাজেশ কুমার বলেন, সকাল সাড়ে ৫টার পর দিল্লি হাওড়া মেইন লাইনে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। রেললাইনে কোথাও বিস্ফোরক রাখা হয়েছে কি না সেটা নিশ্চিত করার পরেই রেল পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়। ঠিক কী হয়েছিল এদিনের ঘটনা?
রেল আধিকারিকদের দাবি, বিপুল অস্ত্রে সজ্♐জিত মাওবাদীরা প্রথমেই স্টেশনটিকে ঘ༺িরে ফেলে। পুলিশের মতো ইউনিফর্ম পরা একজন স্টেশন মাস্টার বিনয় কুমারের ঘরে ঢুকে পড়ে।এরপর ট্রেন দাঁড় করানোর জন্য সিগন্যাল লাল করার জন্য নির্দেশ দেয়। যদি না করেন তবে স্টেশন উড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় তারা। এরপর স্টেশন দখলের ঘটনা উপরমহলে জানানোর জন্য নির্দেশ দেয় তারা। পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমের মাধ্যমে তারা সমস্ত যাত্রীদের বসে থাকার জন্য় অনুরোধ করে। আসলে মাওবাদী দমনের বিরুদ্ধে সপ্তাহব্যপী বন্ধের চতুর্থ দিনেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তারা। তবে পুলিশের দাবি ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর আগে রাস্তায় কোথাও ফাঁদ পাতা হয়েছে কি না সেটা নিশ্চিত করা হয়।