উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, অসম, গুজরাট এবং মহারাষ্ট্র—এই রাজ্যগুলিতে আছে ডবল ইঞ্জিন সরকার। অর্থাৎ বিজেপি সরকার। আর এই সারনী অনুযায়ী টপ টু বটাম ভুয়ো জব কার্ড ধরা পড়েছে। যোগী রাজ্যে সবচেয়ে বেশি এবং সবচেয়ে কম মহারাষ্ট্রে। আর তার থেꦆকেও কম রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু সেখানে কোনও রাজ্যে টাকা আটকে নেই ১০০ দিনের কাজের। শুধু আটকে রয়েছে বাংলায়। এবার এই তথ্য সংসদে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে মোদী সরকার। তাই বকেয়া টাকা কবে মিলবে? প্রশ্ন উঠতেই এবার মনরেগা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের প্রস্তাব দিলেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তাতেই মিলতে পারে সমাধান।
এদিকে বকেয়া টাকা ছাড়তে প্রধানমন্ত্রীর সবুজ সংকেত লাগবে এটাই বুঝিয়ে দিয়েছেন গিরিরাজ সিং। সুতরাং টাকা যে অনৈতিকভাবে আটকে রাখা হয়েছে এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের জবাবে এমনই প্রস্তাব দিয়েছেন গিরিরাজ সিং। রাজ্যের হিসেবে ৭ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। কবে মিলবে? কোনও উত্তর মন্ত্রী দেননি। উল্টে কেন্দ্রের দাবি, পশ্চিমবঙ্গ কথা শুনছে না বলেই টাকা আটকে রাখা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পাল্টা দাবি, মোদী সরকারের প্রত্যেকটি প্রশ্নের যথাযথ জবাব দিয়েছে নবান্ন। আর এই যুক্তির উপর দাঁড়িয়েই তোপ দেগেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিংকে বলেন, ‘স্পষ্ট জানতে চাই কবে মেটাবেন বকেয়া? কোথাও যদি গোলমাল থাকে, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। কিন্তু গোটা রাজ্যে প্রাপ্য কেন🥃 বন্ধ থাকবে? আপনার সঙ্গে তো দেখা করতেও গিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশের ধাক্কা খেতে হয়েছে। অন্য কোনও রাজ্যে তো টাকা বন্ধ হয়নি! বাংলাকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করার ষড়যন্ত্র এটা।’
অন্যদিকে সুদীপের এই বক্তব্যে বিপাকে পড়েন পঞ্চায়েত মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। তিনি জানান, সেদিন অনেকক্ষণ অপেক্ষা করা💝র পরও তাঁর ঘরে আসেননি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। মন্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর নামে মিথ্যা বদনাম দেওয়া হচ্ছে। পাল্টা প্রতিবাদ করে ওঠেন কাকলি ঘোষদস্তিদার, মহুয়া ম𓆉ৈত্র, শতাব্দী রায়, মালা রায়–সহ অন্যান্য সাংসদরা। দু’পক্ষের বচসা চরমে ওঠে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লোকসভা। প্রতিবাদে ওয়াক আউট করে তৃণমূল কংগ্রেস। সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি স্বীকার করে নিয়েছেন, সবথেকে বেশি ভুয়ো জব কার্ড বাতিল হয়েছে উত্তরপ্রদেশেই। এমনকী এই তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্য। সেই তুলনায় ভুয়ো জব কার্ডের সংখ্যার নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এই তথ্যেই অস্বস্তি বাড়ে বিজেপি নেতাদের।
আরও পড়ুন: যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্🅰যু কাণ্ডে নয়া মোড়, ৩২ জন পড়ুয়ার বিরꩲুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ
তারপর অধিবেশন শুরু হলে সুদীপের বেঞ্চের কাছে এগিয়ে আসেন গিরিরাজ। বসে পড়েন সুদীপের পাশে। সুদীপবাবু তখনও জানতে চান, ‘টাকা মিলবে না?’ জবাবে সুদীপবাবু🅰র পাশে বসে হাসি মুখে গিরিরাজের 𒅌মন্তব্য, ‘মমতাজি কো বোলিয়ে সিধা প্রধানমন্ত্রী সে বাত করে।’ লোকসভার বাইরে সাংবাদিকদের কাছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ‘বাংলার বকেয়া অর্থের বিষয়ে গিরিরাজের সঙ্গে দীর্ঘ কথা হয়। তিনি আমাদের পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, আপনাদের মুখ্যমন্ত্রীকে বলুন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে। তবেই জট খুলবে।’