আগেই খবর মিলেছিল একাধিক রেল স্টেশনের আধুনিকীকরণের ভার বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে। কেন্দ্রের মোদী সরকারের দৌলতে পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে রেল স্টেশনের নামও। স্টেশনের নাম লেখা বোর্ডে এবার একইসঙ্গে শোভা পাবে বেসরকারি বিজ্ঞাপনী সংস্থার নামও। আয় বৃদ্ধি করতে দেশজুড়ে রেলওয়ে স্টেশনের কো–ব্র্যান্ডিংয়ের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিয়েছে রেলমন্ত্রক। আর রেল বোর্ডের সেই সার্কুলারকে কেন্দ্র করে শুরু হয়ে গিয়েছে তুমুল বিতর্ক। কারণ অনেকেই মনে করছেন, কো–ব্র্যান্ডিংয়ের ফলে বিভি൩ন্ন রেল স্টেশনের ঐতিহ্যে হাত পড়তে পারে।
কো–ব্র্যান্ডিং বিষয়টি কী? রেল স্টেশনের কো–ব্র্যান্ডিংয়ের অর্থ হল, সংশ্লিষ্ট স্টেশনের নামের সঙ্গেই জুড়ে দেওয়া হবে টেন্🅠ডার প্রক্রিয়ায় বাছাই করে নেওয়া কোনও বিজ্ঞাপন সংস্থা কিংবা তার প্রোডাক্টের নাম। আগেই এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে নয়াদিল্লি মেট্রোর একাধিক স্টেশনে। রেল স্টেশনের কো–ব্র্যান্ডিং সংক্রান্ত🎃 যে সার্কুলার জারি করা হয়েছে গত ২ মার্চ, সেই বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কলকাতা মেট্রো–সহ সমস্ত রেলওয়ে জোনের জেনারেল ম্যানেজারদের কাছে।
কী আছে সেই বিজ্ঞপ্তিতে? সূত্রের খবর, ওই বিজ্ঞপ্তিতে রেল বোর্ড জানিয়ে দিয়েছে, আয় বাড়া🍸নোর জন্যই এই পথে হাঁটতে হচ্ছে মন্ত্রককে। নন–ফেয়ার রেভিনিউয়ের অর্থ, যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধি না করে বিকল্প কোনও পদ্ধতিতে রেলের রাজস্ব আদায় করা। এই নিয়েই এখন জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে।꧋ ঐতিহ্য নষ্ট হতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।
রেল বোর্ড কী জানাচ্ছে? এই বিষয়ে𒈔 বিতর্ক এড়াতে সার্কুলার নিয়ে রেল বোর্ড জানিয়েছে, সরকারিভাবে কোনও স্টেশনের নাম কো–ব্র্যান্ডিংয়ের দরুণ পরিবর্তিত হবে না। ট্রেন টিকিট, পাবলিক রিজার্ভেশন সিস্টেম, ওয়েবসাইট, রুট ম্যাপ কিংবা সাধারণ যাত্রীদের জন্য রেলের ঘোষণার সময় কো–ব্র্যান্ডিং সহ স্টেশনের নাম উচ্চারিত হবে না। থাকবে না উল্লেখও। সেখানে স্টেশনের ‘অরিজিনাল’ নামই প্রাধান্য পাবে। যেসব স্টেশনের সঙ্গে বিখ্যাত মানুষের না🐲ম জড়িয়ে আছে, সেখানে এই কো–ব্র্যান্ডিং করা যাবে না।