পুরোপুরি বেসরকারিকরণ নয়। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সরকারের অংশীদারিত্ব কমানোর জন্য আইনে একাধিক পরিবর্তনের প্রস্তাব বিবেচনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্র উদ্ধৃত করে এমনই জানিয়েছে সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গ। তবে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সূত্র উদ্ধৃত করে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, সেইসব প্রস্তাব যদি অনুমোদন পেয়ে যায়, তাহলে ধীরে ধীরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে সরকারের অংশীদারিত্ব ৫১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৬ শতাংশে আনা যাবে। তবে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির পরিচালকমণ্ডলীতে প্রতিনিধি নিয়োগের ক্ষেত্রে রাশ আলগা করবে না কেন্দ্রীয় সরকার। সেই প্রস্তাব কার্যকর হলে সংসদের অনুমোদন ছাড়াই বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ব্যাঙ্কে বেশি শেয়ার ধরে রাখার পথ সুগম হবে বলে ওই সূত্র জানিয়েছে ব্লুমবার্গকে। ওই আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রস্তাবিত সংশোধনী নিয়ে প্রাথমিকভাবে আলোচনা চলছে। সেই প্রস্তাবগুলি বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। পেতে হবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদন। তারপরই পেশ করা যেতে পারে সংসদে। বিষয়টি নিয়ে ব্লুমবার্গের তরফে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের এক মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ। কিন্তু এরকম ভাবনাচিন্তা কেন করা হচ্ছে? সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সরকারের অর্থের উপর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির যে নির্ভরশীলতা আছে, তা কমাতেই এরকম প্রস্তাবের বিবেচনা করছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। তাতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির উপর থেকে সরকারের রাশ পুরোপুরি আলগা হবে না। বরং আধা-রাষ্ট্রায়ত্ত থাকবে ব্যাঙ্কগুলি। যা একদিকে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের স্বস্তি জোগাবে। অন্যদিকে, অর্থনীতিতে অর্থের জোগান বাড়াবে। সূত্র উদ্ধৃত করে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, মোদী সরকার যে সব পরিবর্তনের প্রস্তাব বিবেচনা করছে, তা গৃহীত হলে ১৯৬৯ সালের ব্যাঙ্ক নীতিতে পরিবর্তন আসবে। এমনিতেই মোদী সরকার ইতিমধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকারিকরণে পথে হেঁটেছে।