প্রবল বর্ষণে গোটা উত্তর ভারত বিপর্যস্ত। এদিকে, পাকিস্তানে গত ২৫ জুন থেকে অঝোর বর্ষণ প্রাণ কেড়েছে ৮৬ জনের। সেদিন পাকিস্তানে ঝড়বৃষ্টির তাঁণ্ডবে আহত হয়েছেন ১৫১ জন। পাকিস্তানের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের খবর অনুযায়ী, এই তথ্য প্রদান করেಞছে এআরওয়াই নিউজ।
গত ২৪ ঘণ্টায় পাকিস্তানে অঝোর বর্ষণের জেরে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৫ জুন থেকে বর্ষণের জেরে ৯৭ টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। জানা গিয়েছে, বর্ষণের জেরে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রভিন্সে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সংখ্যা ছুঁয়েছে ৫২ এর অঙ্ক। এনডিএম এ আগেই, পূর্বাভাসে জানিয়েছিল যে ২০২৩ সালে পাকিস্তান🐽ে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। যেভাবে হিমবাহ গলছে, বর্ষণ হচ্ছে, তাতে প্রবল বন্যার আশঙ্কা দেখা যেতে পারে পাকিস্তানে।
এদিকে, পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নেই উত্তর⛄ ভারতে। প্রবল বর্ষণের জেরে সেখানে একাধিক জায়গায় মুষলধারে বর্ষণ হচ্ছে। হিমাচল প্রদেশে গত ৪৮ ঘণ্টায় বর্ষণের জেরে ২০ জনের মৃত্🐟যু হয়েছে। আইএমডির তরফে হিমাচল প্রদেশে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। এছাড়াও মঙ্গলবার উত্তরাখন্ডের একাধিক জেলার জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এদিকে, দিল্লিতে ফুঁসে উঠছে যমুনার জল। ফলে যমুনা ঘিরেও জারি হয়েছে সতর্কতা।
এদিকে ভয়াবহ বর্ষণের জেরে জম্মু-শ্রীনগর ন্যাশনাল হাইওয়ে বন্ধ রয়েছে। ফলে চতুর্থতম দিনেও বন্ধ রয়েছে অমরনাথ যাত্রা। ভূস্বর্গের রামবান এলাকায় সবচেয়ে বেশি বন্যার প্রভাব দেখা গিয়েছে। এছাড়াও হিমাচল প্রদেশের সোলান, শিমলা, কুল🦂ু, মানালিতে ব্যাপক বর্ষণ দেখা গিয়েছে। এদিকে, ভারী থেকে প্রবল ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে বিহারে। সেখানে বর্ষণ নিয়ে রয়েছে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিহারে ১১ থেকে ১৩ জুলাই ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও অসম, হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ, সিকিমে প্রবল বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে, আইএমডি বলছে, আগামী ৫ দিন উত্তর ভারতের একাধিক জায়গায় প্রবল বর্ষ হবে। পূর্ব রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে,🎃 পাকিস্তানেও অঝোর বর্ষণ দেখা যꦯাচ্ছে। সেখানে আহত ও মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ৩৭ জন মহিলা, ১৬ জন শিশু। ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।