পড়শি রাজ্য ওডিশার বালেশ্বর জেলার একটি গ্রাম। সেই গ্রামেরই এক বাড়ির গোয়ালঘরে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হল লক্ষ লক্ষ টাকা! ওডিশা ও হায়দরাবাদ পুলিশের যৌথ অভিযানে এই বিপুল পরিমাণ ন🐈গদ উদ্ধার করা হয়েছে।
পিটিআই সূত্রে খবর, শনিবার সংশ্লিষ্ট এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন। সেই তথ্য অনুসারে, যে গ্রামে এই টাকཧা উদ্ধার হয়েছে, তার নাম - বড়মন্দারুনি। এই গ্রামটি কামারডা থানার অধীনে পড়ে।
গোপাল বেহারা নামে এক যুবকের শ্বশুরবাꩵড়ির সদস্যরা এই গ্রামেই থাকেন। সেই বাড়িতেই যৌথ অভিযান চালা💟য় হায়দারবাদ ও ওডিশা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকা উদ্ধারের এই ঘটনায় গোপালই হ🌟লেন মূল অভিযুক্ত। তিনি হায়দরাবাদের একটি কৃষি খামারে চাকরি করেন। অভিযোগ, সেই সংস্থার মালিকের কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকারও বেশি চুরি করে চম্পট দেন গোপাল। পুলিশ এখনও তাঁর নাগাল পায়নি।
কিন্তু, তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সেই টাকা নিজের শ𒈔্বশুরবাড়িতে লুকিয়ে রেখেছেন গোপাল বেহারা। সেই কারণেই ওডিশার ওই গ্রামের বাড়িতে যৌথ অভিযান চালানো হয়।
পুলিশের দাবি, চ🌄ুরি করার পর ওই বিপুল পরিমাণ টাকা নিজের গ্রামে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন গো🃏পাল। এর জন্য নিজের শ্যালক রবীন্দ্র বেহারার সাহায্য নেন তিনি। রবীন্দ্র সেই টাকা লুকিয়ে রাখেন বাড়ির গোয়ালঘরে।
এদিকে, চুরির তদন্তে নেমে রবীন্দ🍌্রর বাড়িতে পৌঁছে যায় দুই রাজ্যের পꦆুলিশ। সারা বাড়িতে তল্লাশি করে তারা। কিন্তু, প্রাথমিকভাবে এক টাকাও খুঁজে পায়নি পুলিশ।
এরপরই রবীন্দ্র বেহারার বাড়ির গোয়ালঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সেখানে একটি জ𒅌ায়গায় স্তূপাকারে ঘুঁটে রাখা ছিল। যা দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। সেই স্তূপ স🐬রাতেই সাফল্য মেলে। দেখা যায়, ঘুঁটের নীচেই যত্ন করে লুকিয়ে রাখা রয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকার বান্ডিল!
কামারডা পুলꩲিশের আইআইসি প্রেমদ নায়েক এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, গোপালের পাশাপাশি রবীন্দ্রও আপাতত বেপাত্তা। তাঁদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্ল💃াশি চালানো হচ্ছে।
তবে, এই ঘটনায় বেহারা পরিবারের এক সদস্যকে ওই গ্রাম থেকেই গ্রেফতার কর⛦া হয়েছে। তদন্ত চলছে।
পুলিশের দাবি, আপাতত ধৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোপাল ও রবীন্দ্র সম্পর্কে 🐓তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করা হবে। তদন্তকারীদের আশা, শীঘ্রই তারা দুই অভিযুক্তকে পাকড়াও করতে সক্ষম হবে।
অন্যদিকে, উদ্ধ🔯ার হওয়া নগদ টাকা যাতে অভিযোগকারী ব্যবসায়ীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়, তার জন্য আইনত যা যা করা দরকা🐠র, সেই প্রক্রিয়াও নিয়ম মেনে পালন হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।