দুর্নীতি নিয়ে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। সম্প্রতি সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশন বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে চমকে করে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে♛ আনা হয়েছে। কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছর সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির অভিযোগ ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্মীদের বিরুদ্ধে। এরপরেই রেল এবং ব্যাঙ্কের আধিকারিক, কর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল সবচেয়ে বেশি। সব মিলিয়ে কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক ও সংস্থার কর্মকর্তা এবং কর্মীদের বিরুদ্ধে গত ১,১৫,২০৩ টি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এই প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আসতেই সরল পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২২-এর ক্যাগ রিপোর্টে বি🎀স্ফোরক তথ্য, বরাদ্দ ক্রমেই কম♔েছে, সুপারিশও মানেনি রেল
রিপোর্টে অনুযায়ী, ২০২২ সালে ১,১৫,২০৩টি অভিযোগের মধ্যে ৮৫,৪৩৭টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং ২৯,৭৭৬টি বিচারাধীন। এর মধ্যে ২২,০৩৪টি অভিযোগ তিন মাসের বেশি সময় ধরে বিচারাধীন ছিল। একজন আধিকারিক জানান, অভিযোগের তদন্তের 🍬জন্য আধিকারিকদের ৩ মাসের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে দুর্নীতির মোট অভিযোগ ছিল ৪৬,৬৪৩টি। এছাড়া, রেলওয়ে মন্ত্রকে ১০,৫৮০টি অভিযোগ এবং ব্যাঙ্কগুলিতে ৮,১২৯টি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্মীদের বিরুদ্ধে মোট অভিযোগের মধ্যে ২৩,৯১৯টি মামলার নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং ২২,৭২৪টি বিচারাধীন ছিল। এর মধ্যে ১৯,১৯৮টি তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে বিচারাধীন ছিল।
ক্যাগ রিপোর্ট অনুযায়ী, রেল মন্ত্রকে ৯,৬৬৩ অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়েছে। ৯১৭টি অভিযোগ মুলতুবি রয়েছে। যার মধ্যে ৯টি অভিযোগ তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে বিচারাধীন ছিল। ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে ৭🥂,৭৬২টি দুর্নীতির অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়েছে। ৩৬৭টি বিচারাধীন ছিল। যার মধ্যে ৭৮টি তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে বিচারাধীন ছিল।
দেশের রাজধানী দিল্লিতে কর্মীদের বিরুদ্ধে ৭,৩৭০টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। যার মধ্যে ৬,৮০৪টি অভিযোগের নিষꩲ্পত্তি করা হয়েছিল এবং ৫৬৬টি অভিযোগ মুলতুবি ছিল। যার মধ্যে ১৮টি অভিযোগ তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে বিচারাধীন ছিল।এছাড়াও, দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় আবাসন এবং নগর বিষয়ক মন্ত্রক, দিল্লি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন, দিল্লি আরবান আর্ট কমিশন, হিন্দুস্তান প্রিফ্যাব লিমিটেড, হাউজিংয়ের কর্মীদের বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে ৪,৭১০টি অভিযোগ ছিল। যার মধ্য𒀰ে ৩,৮৮৯টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
এছাড়া, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস (সিবিডিটি)–এর কর্মীদ🎃ের বিরুদ্ধে ২,১৫০টি অভিযোগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্মীদের বিরুদ্ধে ১,৬৯১টি, টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মীদের বিরুদ্ধে ১,৩০৮টি, অর্থ মন্ত্রকের কর্মীদের বিরুদ্ধে ১,২০২টি অভিযোগ ছিল।