পাকিস্তানি নাগরিক সীমা হায়দারের মতো আরও এক মহিলা সীমানার কাঁটাতার পেরিয়ে প্রেমের টানে ছুটে এলেন ভারতে। এবার বাংল👍াদেশি এক বিধবা মহিলা ৩ সন্তানকে নিয়ে পৌঁছলেন উত্তরপ্রদেশে। ওই মহিলার নাম দিলরুবা শর্মি। তবে তাঁর গল্প সফল হল না। উত্তরপ্রদেশে পৌঁছে প্রেমিকের কাছে ধোকা খেলেন ওই মহিলা। তিনি জানতে পারেন তাঁর প্রেমিক বিবাহিত। তার পরেই আবার তিনি নিজের দেশে ফিরে গেলেন।
আরও পড়ুন: সীমাꦯ কি আবার মা হতে চলেছেন? সচিন🔯ের পাকিস্তানি স্ত্রী যা বললেন শুনলে চমকে যাবেন
জানা গিয়েছে, দিলরুবা শর্মি তিন সন্তানের মা। সোশ্যাল মিডিয়াতে আলাপ হয়েছিল উত্তর প্রদেশের শ্রাবস্তীর বাসিন্দা আবদুল করিমের সঙ্গে। এরপরে তিনি আবদুলের প্রেমে পড়ে যান। শেষে উত্তর প্রদেশের আসার সিদ্ধান্ত নেন। পুলিশ জানিয়েছে, দিলরুবা শর্মি একজন বিধবা। তিনি একজন বিউটিশিয়ান হিসাবে কাজ করেন। ২৬ সেপ্টেম্বর ৩২ বছর বয়সি দিলরুবা তাঁর তিন সন্তানকে নিয়ে ভারতে এসেছিলেন। তিনি তাঁর ২৭ বছর বয়সি প্রেমিক আবদুল করিমের সঙ্গে দেখা করার জন্যই এসেছিলেন ভারতে। জানা যায়, আব্দুল মালিপুর এলাকার ভরথা রোশনগড় গ্রামের বাসিন্দা। দিলরুবা ট্য♈ুরিস্ট ভিসায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভারতে এসেছিলেন। সন্তানদের বয়স ১৫, ১৩ এবং ৭ বছর। তিনি লখনউয়ে পৌঁছন। আব্দুলও সেখানে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যান। তাঁরা পাঁচজন মিলে বাহরাইচের একটি হোটেলে দুদিন ধরে ছিলেন। কিন্তু, তখন সত্যি জানতে পারেননি ওই মহিলা।
আসলে আবদুল ওই মহিলাকে জানিয়েছিলেন তিনি অবিবাহিত। এরপর প্রেমিকের বাড়ি যেতেই জানতে পারেন।আসল ঘটনা। তিনি দেখেন প্রেমিক ভরা সংসার। তাঁর স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। সেটি জানার পরেই সেখান থেকে চলে যান এবং দেশে ফিরে যান ওই মহিলা। খবর পেয়ে ওই গ্রামে পৌঁছয় পুলিশ এবং সশস্ত্র সীমা বল। তারা তদন্ত শুরু করে। মালহিপুরের এসএইচও ধর্মেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, ওই মহিলা ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে এসেছিলেন। তদন্তে অপরাধমূলক কিছু পাওয়া যায়নি। তাঁর ট্যুরিস্ট ভিসা বৈধ ছিল। তিনি শনিবার লখনউতে ফিরে আসেন এবং সম্ভবত সেখান থেকেꦚ বাংলাদেশে চলে যান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রবীণ কুমার যাদব জানান, গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা, সশস্ত্র সীমা বল এ🐈বং অ্যান্টি টেরোরꦉিস্ট স্কোয়াড ওই দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং সন্দেহজনক কিছু খুঁজে পাননি। সেই কারণে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, দিলরুবার স্বামী কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন।