ক্লাস শুরুর আগে সংস্কৃত শ্লোক পাঠ করতে বারণ করায়, প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে এফআইআর। সম্প্রতি, ১৫ জুলাই মধ্যপ্রদেশের গুনায় একটি বেসরকারি স্কুলে এমনই ঘট🥀না ঘটেছে। জানা গিয়েছে, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের অভিযোগে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
আসল ঘটনাটি কী ঘটেছে
পুল🐓িশের কাছে দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী, প্রাইভেট স্কুলে সকালের নামাজের সময় ছাত্ররা শ্লোক পাঠ করছিল। এসময় অধ্যক্ষ এক শিক্ষার্থীর হাত থেকে মাইক ছিনিয়ে নিয়ে বলেছিলেন, এ ধরনের কবিতা বিদ্যালয়ে বরদাস্ত করা হবে না। এরপরেই শুরু হয় তোলপাড়। সংস💦্কৃত শ্লোক পাঠ করতে বাধা দেওয়ার খবর পেয়ে এবিভিপি হিন্দু সংগঠনের সঙ্গে স্কুলে গিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। এই সময়ে পুলিশ আসলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: (Olympics 2024: আজ শুরু প্যারিস অল🐭িম্পিক্স, থাকছে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ)
পুলিশ জানিয়েছি🌺ল যে এই হট্ট🐷গোলের মধ্যে প্রিন্সিপ্যাল সিস্টার ক্যাথরিন ক্ষমা চেয়েছেন। বলেছেন যে সেই নির্দিষ্ট দিনটি শুধুমাত্র ইংরেজিতে কথা বলার জন্য সংরক্ষিত ছিল, সেই কারণেই শ্লোক পাঠ করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের থামানো হয়েছিল। তিনি সব ধর্মকেই সম্মান করেন, তবুও কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগলে তিনি দুঃখিত।
ক্ষমা চাওয়া সত্ত্বেও, বিক্ষোভকারীরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা এবং তার অপসারণ চেয়েছিল, কর্মকর্তা বলেছেন। কর্মীরা যথারীত🌳ি দু'ঘণ্টা ধরে স্কুল চত্বরে ধর্নায় বসেছিলেন তখন। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করার দাবিতে অনড় ছিলেন তাঁরা। স্কুলে প্রতিদিন স্লোক পাঠ করার দাবিও জানিয়েছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা শিক্ষা আধিকারিক (ডিইও) চন্দ্র শেখর সিসোদিয়াও স্কুলে পৌঁছেছিলেন। পরে পুলিশ আশ্বাস দিয়ে সবটা নিয়ন্ত্রণে এনেছিল।
কোতোয়ালি থানার ইনচার্জ এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ২২ জুলাই একজন এবিভিপি কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিএনএস, আইনের ধারা ১৯৬ অনুযায়ী, বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার করা এবং সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য ক্ষতিকর কাজের অভিযোগে, আর ধꦑর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভি🎐যোগে আইনের ২৯৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
অনেকেই এই ঘটনার জন্য ইনস্টিটিউট বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু, গুনা নাগরিক সংস্থার বিরোধী নেতা শেখর বশিষ্ট, ম্যানেজমেন্টকে বলেছেন যে এটি হাজাꦡর হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের উপর প্রভাব ফেলবে। তাই এমন পরামর্শে কান দেওয়া অনুচিত।