কাবুলে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থার এক ড্রোন অভিযানে মৃত্যু হয়েছে আল কায়দা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরির। মনে করা হচ্ছে হেলফায়ার R9X মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছিল এই অভিযানে। এর ফলে নিখুঁত ভাবে হামলা চালানো সম্ভব। জানা গিয়েছে, অভিযানে দুটি মিসাইল নিক্ষেপ করা ꦉহয়েছিল। তবে কোনও বিস্ফোরণ হয়নি। তা থেকেই অনুমান করা হচ্ছে যে হেলফায়ার মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছিল জাওয়াহারিকে খতম করার জন্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও জানান, অভিযানে শুধুমাত্র জঙ্গি নেতাকে খতম করা হয়েছে। তার পরিবারের কোনও সদস্যের কোনও ক্ষতি হয়নি।
এর আগে ২০১৭ সালে আল-কায়দার শীর্ষ নেতা আবু আল-খায়ের আল-মাসরিকে খতম করতে হেলফায়ার মিসাইল ব্যবহার করেছিল আমেরিকা। সিরিয়াতে সেই অভিযান চালানো হয়েছিল। তবে হে✤লফায়ার মিসাইল ব্যবহারের কথা সিআইএ বা পেন্টাগন কোনওকালেই স্বীকার করেনি। ২০১৭ সালের অভিযানে দেখা গিয়েছিল, যে গাড়িতে হামলা চালানো হয় মিসাইল দিয়ে, তার ছাদে বড় ছিদ্র। তবে কোনও বিস্ফোরণ ঘটেনি। গাড়ির সামনের দিকের কাচ অক্ষত। তখন থেকেই এই নয়া মিসাইল নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্🐈গে। ২০১৭ সাল থেকে এরকম বিভিন্ন অভিযানে এই ধরনের নিখুঁত হামলার নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে। এই মিসাইলটির ডাকনাম – ‘নিনজা বম্ব’ বা ‘ফ্লাইং জিনসু’।
জানা গিয়েছে, গত ৩১ জুলাই জাওয়াহারি কাবুলে নিজের বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়েছিল। সেই সময় একটি মার্কিন ড্রোন থেকে দুটো হেলফায়ার মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়। পরে দেখা যায়, সেই ভবনের একটি তলার কাচ ভেঙে পড়ে আছে। তবে বাকি বিল্ডিংয়ের জানলা অক্ষত। অভিযানের সময় জাওয়াহারির পরিবার সদস্যরা ভবনে উপস্থিত ছিলেন। তবে তাদের মধ্যে কেউ জখম হয়নি বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি এই অভিযানে অন্য ক💝োনও সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর খবরও মেলেনি। এর আগে কাবুলে আইএস খোরাসানের জঙ্গিদের খতম করতে ড্রোন অভিযান চালিয়ে সাধারণ নাগরিক মেরেছিল আমেরিকা। পরে সেই কথা প্রকাশ্যে আসতে অস্বস্তিতে পড়েছিল বাইডেন প্রশাসন। সেই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি যাতে ফের একবার তৈরি না হয়, তার জন্যই আল-কায়দা প্রধানকে খতম করতে হেলফায়ার মিসাইলের প্রয়োগ বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে কাবুলের মাট♊িতে মার্কিন অভিযানের নিন্দা জানিয়েছে শাসক গোষ্ঠী তালিবান। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথায়, সুবিচার হয়েছে। প্রসঙ্গত, আল-কায়দা প্রধান জাওয়াহারি ৯/১১ হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে দাবি আমেরিকার। এর জেরে এই জঙ্গি নেতার মাথার দাম নির্ধারণ কার হয়েছিল ২৫ মিলিয়ন ডলার।