মিশনারিজ অফ চ্যারিটিজের কোনও আবাসিক যাতে খাবার বা ওষুধের সমস্য়ায় না পড়েন তা দেখার জন্য জেলা শাসকদের নির্দেশ দিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। এদিকে সোমবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সরকার মাদার টেরেজার মিসনারিজ অফ চ্যারিটিজের ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট ফ্রিজ করে দিয়েছে। এর জেরে গোটা দেশ জুড়ে ২২ হাজার আবাসিক সমস্যার মধ্যে পড়বেন। তবে পরে অবশ্য সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছিল, তারাই তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার জন্য স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে অনুরোধ করেছেন। কারণ তাঁদের এফসিআরএ লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ হচ্ছে না। এদিকে ওড়িশার মুখ্য়মন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে অনাথ আশ্রম ও কুষ্ঠ আশ্রমের আবাসিকদের জন্য খাবার ওষুধের ব্যবস্থা করতে হবে। ভুবনেশ্বরের উপকন্ঠে একটি কুষ্ঠ রোগীদের জন্য হোম রয়েছে। ১২টি অনাথ আশ্রমে প্রায় ৬০০জন আবাসিকও রয়েছেন। পাশাপাশি ৮৭জন সিস্টারও রয়েছেন যারা রোজকার কাজ দেখাশোনা করেন। তাঁদের খাবার ও ওষুধের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেটাও দেখতে বলেছে সরকার। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ২৫শে ডিসেম্বর জানিয়েছে, FCRA 2010 Foreign Contribution Regulation Rules (FCRR) 2011 সংক্রান্ত কিছু শর্ত মানেনি মিশনারিজ অফ চ্যারিটি। সেকারণেই তাঁদের FCRA সার্টিফিকেট রিনিউ করার বিষয়টি মানা হয়নি।