বিগত কয়েকদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছিল নিম্নচাপের জেরে। বর্তমানে তা সরে গিয়ে ভাসাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ এবং তৎসংলগ্ন এলাকা। ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত আমাদের পড়শি দেশ নেপালও। আর সেখানে বন্যা পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে মৃতের সংখ্যা ১০০-র গণ্ডি ছাড়িয়েছে গিয়েছে। সংবাদংস্থা এএনআই-এর সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, নেপালে বন্যার জেরে এখনও পর্যন্ত ১১২ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা গিয়েছে। তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে ললিতপুরে কমপক্ষে ২০ জন, ধাদিংয়ে ১৫ জন, কাভরে ৩৪ জন, কাঠমান্ডুতে ১২ জন, মাকাওয়ানপুরে ৭ জন, ভক্তপুর ও পাঁচথারে ৫ জন, সিন্ধুপালচোকে ৪ জন, দোলাকায় ৩ জন, ধনকুটায় ২ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন। তবে এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ বলে জানিয়েছে নেপাল পুলিশ ও সেনা। উল্লেখ্য, শনিবার কাঠমান্ডু উপত্যকায় ১৯৭০ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর যেরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে সেখানে। (আরও পড়ুন: রবিবাসর⛎ীয় বাজার মাতাবে পদ্মার ইলিশ, আরও রুপোলি শস্য এল ভারতে, দাম কত জানেন?)
আরও পড়ুন: পুজোর আগে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, চাল 🅰রফতানির ওপর থেকে উঠল নিষেধাজ্ঞা
রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই দেশে কাঠমান্ডু উপত্যকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কোশী, বাগমতী প্রদেশের বহু জꦚেলাতেও মানুষের মৃত্যু মিছিলে আকাশ ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। বন্যার আবহে নেপালে ৬৩টি স্থানে মহাসড়ক অবরুদ্ধ রয়েছে ভূমিধসের জেরে। সেই দেশের অধিকাংশ নদী ফুলে ফেঁপে উঠেছে। রাস্তা ও সেতুর ওপর দিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে নদীগুলির জলরাশি। এদিকে পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, নেপালের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ মান সিং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, নিরাপত্তা সংস্থাগুলির প্রধান-সহ বিভিন্ন মন্ত্রীদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন বন্যা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করার জন্যে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, নেপালের পাঁচথার, ঝাপা, মহোত্তারি, কাঠমান্ডু, ললিতপুর, কাভরে, স꧋িন্ধুলি, ধাদিং, সিন্ধুপালচোক, দোলাখা এবং রূপানদেহি জেলায় প্রায় ৭০ জন নিখোঁজ রয়েছেন এখনও।
আরও পড়ুন: বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, উৎসবের মর𒉰শুমে 🌸বাড়ছে ন্যূনতম বেতন, ডিএ বৃদ্ধি ৩.২%