বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল ২০২১। নতুন অর্থবর্ষের 🍎প্রথম দিনꦺ। আর সেদিন থেকেই আয়করের ক্ষেত্রে চালু হয়েছে বেশ কিছু নতুন নিয়ম। আপনি সে বিষয়ে ওয়াকিবহাল তো?কেন্দ্রীয় বাজেটে আয়করে একাধিক নয়া নীতির ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। নয়া শ্রম ও বেতন নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই পরিবর্তনগুলি আনা হয়।
সেই সঙ্গে আরও বেশি নাগরিক যাতে সময়ে আয়কর দাখিল করেন, সেই উদ্দেশ্য﷽ে চালু হচ্ছে বেশ কিছু নয়া নীতি। আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রক্🎃রিয়া সহজতর করার চেষ্টাও করেছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক।
প্রভিডেন্ট ফান্ডে নয়া কর-ছাড় নীতি
পিএফ বাবদ ৫ লক্ষ টাকার অধিক কর্মীর তরফে জমা হলে তাতে এবার থেকে কর প্রযোজ্য হবে। ৫ লক্ষের উপর জম♔া রাখলে তার 🎉ওপর যে সুদটি জমবে, সেটার ক্ষেত্রে কর চাপানো হবে। তবে এক্ষেত্রে কর্মপ্রতিষ্ঠান যে টাকা জমা করছে সেটি ধরা হবে না।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কথায়, 'নয়া EPF নীতি কর্মীদের꧂ স্বার্থ মাথায় রেখেই করা। মাসে ২ লক্ষ টাকার কম আয় করা কোনও ব্যক্তির ক্꧑ষেত্রে এই নীতিতে কোনও প্রভাব পড়বে না।'
প্রাথমিকভাবে এই সীমা আড়🌼াই লক্ষ টাকা ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে তা বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকাཧ করা হয়।
এর আগে পিএফ-এর ক্ষেত্রে এ হেন উর্ধ্বসীমা ছিল না।
বিলেটেড আয়কর রিটার্নের সময়সীমা কমানো হল
এতদিন ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আয়করের রিটার্ন জমা না করলে সেই অর্থবর্ষের শেষ দিন পর্যন্ত বিলেটেড আয়কর রিটার্ন জমা করার সময় মিলত। অর্থাত্ তার পরের ꦯবছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত তা জমা করা যেত। দিতে হত লেট ফি।
তবে অর্থবিল ২০২১-২০২২ অনুযায়ী কমানো হয়েছে সেই সময়সীমা। এবার থে♐কে বিলেটেড আয়কর রিটার্ন জমা করার শেষ দিন সেই বছরেরই ৩১ ডিসেম্বর।
সিনিয়র নাগরিকদের জন্য সুবিধা :
৭৫ বছর ও তাঁর উর্ধ্বে বয়সী যাঁরা আয়ের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ পেনশন ও ব্যাঙ্কের সুদের টাকায় নির্🔯ভরশীল, তাঁদের আয়কর রিটার্ন জমা করতে হবে না। যে ব্যাঙ্কে তাঁরা পেনশন পান, সেখানেই হিসেব করে কেটে নেওয়া হবে টাকা।
TDS :
এ ক্ষেত্রে নয়া নীতির মূল উদ্দেশ্য আরও বেশি সংখ্যক নাগরিককে আয়কর দাখিল করতে উত্সাহিত করা। চলতি বছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী TDS ও TCS বৃদ্ধি করার ঘোষণা করেছꦚেন।
এছাড়াও বাজেটে Income Tax Act-এ দুটি নয়া সেকশন, 206AB ও 206CCA য🉐োগ করার কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এই নীতি অনুযায়ী যাঁরা আয়কর ফাইল করবেন না, তাঁদের অতিরিক্ত হারে TDS ও TCS কেটে নেওয়া হবে।
প্রি-ফিল করা আয়করের রিটার্নের ফর্ম :
প্রত্যেক করদাতা প্রি-ফিলড আয়কর রিটার্নের ফর্ম পাবেন। অর্থাত্ এবার আগে থেকেই করদাতার সমস্ত তথ্যা ভরা থাকবে ফর্মে। আয়, সঞ্চয় থেকে সুদবাবদ আয়, কর প্রদান ইত্যাদি সমস্ত তথ্য আগে থেকেই স🤪েখানে উল্লেখিত থাকবে। তাই করপ্রদানের প্রক্রিয়া সহজতর হবে।