প্রভিডেন্ট ফান্ডে নয়া কর-ছাড় নীতিপিএফ বাবদ ৫ লক্ষ টাকার অধিক কর্মীর তরফে জমা হলে তাতে এবার থেকে কর প্রযোজ্য হবে। ৫ লক্ষের উপর জমা রাখলে তার ওপর যে সুদটি জমবে, সেটার ক্ষেত্রে কর চাপানো হবে। তবে এক্ষেত্রে কর্মপ্রতিষ্ঠান যে টাকা জমা করছে সেটি ধরা হবে না।কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কথায়, 'নয়া EPF নীতি কর্মীদের স্বার্থ মাথায় রেখেই করা। মাসে ২ লক্ষ টাকার কম আয় করা কোনও ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই নীতিতে কোনও প্রভাব পড়বে না।'প্রাথমিকভাবে এই সীমা আড়াই লক্ষ টাকা ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে তা বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা হয়।এর আগে পিএফ-এর ক্ষেত্রে এ হেন উর্ধ্বসীমা ছিল না।বিলেটেড আয়কর রিটার্নের সময়সীমা কমানো হলএতদিন ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আয়করের রিটার্ন জমা না করলে সেই অর্থবর্ষের শেষ দিন পর্যন্ত বিলেটেড আয়কর রিটার্ন জমা করার সময় মিলত। অর্থাত্ তার পরের বছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত তা জমা করা যেত। দিতে হত লেট ফি।তবে অর্থবিল ২০২১-২০২২ অনুযায়ী কমানো হয়েছে সেই সময়সীমা। এবার থেকে বিলেটেড আয়কর রিটার্ন জমা করার শেষ দিন সেই বছরেরই ৩১ ডিসেম্বর।সিনিয়র নাগরিকদের জন্য সুবিধা :৭৫ বছর ও তাঁর উর্ধ্বে বয়সী যাঁরা আয়ের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ পেনশন ও ব্যাঙ্কের সুদের টাকায় নির্ভরশীল, তাঁদের আয়কর রিটার্ন জমা করতে হবে না। যে ব্যাঙ্কে তাঁরা পেনশন পান, সেখানেই হিসেব করে কেটে নেওয়া হবে টাকা।TDS :এ ক্ষেত্রে নয়া নীতির মূল উদ্দেশ্য আরও বেশি সংখ্যক নাগরিককে আয়কর দাখিল করতে উত্সাহিত করা। চলতি বছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী TDS ও TCS বৃদ্ধি করার ঘোষণা করেছেন।এছাড়াও বাজেটে Income Tax Act-এ দুটি নয়া সেকশন, 206AB ও 206CCA যোগ করার কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এই নীতি অনুযায়ী যাঁরা আয়কর ফাইল করবেন না, তাঁদের অতিরিক্ত হারে TDS ও TCS কেটে নেওয়া হবে।প্রি-ফিল করা আয়করের রিটার্নের ফর্ম :প্রত্যেক করদাতা প্রি-ফিলড আয়কর রিটার্নের ফর্ম পাবেন। অর্থাত্ এবার আগে থেকেই করদাতার সমস্ত তথ্যা ভরা থাকবে ফর্মে। আয়, সঞ্চয় থেকে সুদবাবদ আয়, কর প্রদান ইত্যাদি সমস্ত তথ্য আগে থেকেই সেখানে উল্লেখিত থাকবে। তাই করপ্রদানের প্রক্রিয়া সহজতর হবে।