অন্তর্বর্তী বাজেটে ফের চমকপ্রদ বরাদ্দ পেল প্রতিরক্ষা বিভাগ। দেশে প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে আত্ননির্ভরতার রাস্তা আগেই নিয়ে নিয়েছে ভারত। এদিকে, ২০২৪ অন্তর্বর্তী বাজটে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কার্যত দরাজ হাতে বরাদ্দ ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ হয়েছে ৬.২১ লাখ কোটি টাকা। গত বছরের তুলনায় গত বছরের তুলনায় প্রতিরক্ষা খাতে ব্যায় বরাদ্দ ৪.২৭ শতাংশ বেড়েছে🌸। বাজেটে প্রতিরক্ষা বিষয়ে একাধিক ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ডিপ টেক প্রযুক্তি প্🅠রকল্প নিয়ে বড় ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
সীমান্তে পাকিস্তান, ও চিনের ক্রমাগত নানান কর্মকাণ্ডের মাঝে নিজের শক্তি বাড়িয়ে চলেছে ভারত। তারই মধ্যে প্রতিরক্ষা ইস্যুতে ফের বড়সড় ব্যায় বরাদ্দের কথা জানালেন নির্মলা সীতারামন। তিনি বলেন, এই বছরের প্রতিরক্ষা বাজেট ২০২৪-২৫ দেশের জিডিপির ১.৮৯ শতাংশ। প্রতিরক্ষা বাজেটে গত বছরের বরাদ্দ ছিল ৫.৯৪ লাখ কোটি টাকা। সামরিক ক্ষেত্রে আত্মনির্ভরতা ও প্রযুক্তিকে সমান্তরালভাবে নিয়ে এগোতে বড়সড় বার্তা দিয়েছে এবারের বাজেট। এবারের বাজেটে ডিপ টেক প্রযুক্তি নিয়ে প্রকল্পের প্রস্তাব রেখেছেন নির্মলা সীতারামন। প্রশ্ন হল, কী এই ডিপ টেক প্রযুক্তি? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বায়োটেকꦰ, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, এআই, রোবোটিক্স, গ্রিন এনার্জি, অ্যাডভান্সড মেটেরিয়াল, এয়ারোস্পেস, অ্যাডভান্সড কম্পিউটিংয়ের মতো বিষয় ডিপ টেকের আওতায় আসে।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব জুড়ে কোয়ান্টাম বিপ্লবের বিপুল জোয়ার শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রতিযোগিতার বাজারে পিছিয়ে নেই ভারতও। দেশ জুড়ে চারটি কোয়ান্টাম হাব মিশন তৈরি হবে চলতি বছরেই। এদিকে, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং প্রযুক্তি সহ সমরাস্ত্র অত্যাধুনিকরণের ক্ষেত্রেও চলতি বছরে গিয়েছে ব্যায় বরাদ্দের একটা বড় অংশ। সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকীকরণের জন্য মূলধন গত বছরের তুলনায় ৫.৭৮% বেশি হয়েছে চলতি বছরে। ভারত তার সেনাবাহিনীকে ফাইটার জেট, হেলিকপ্টার, যুদ্ধজাহাজ, ট্যাংক, আর্টিলারি বন্দুক, রকেট ও মিসাইল, মনুষ্যবিহীন সক্ষমতা দিয়ে আধুনিকীকরণের রাস্তায় নিয়ে🎉 যাচ্ছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এবং স্বনির্ভরতা ও রপ্তানি বৃদ্ধির দ্বিমুখী লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা বাজেট ২০২৪-২৫🅠 আর্থিক বছরে ৬,২১,৫৪০.৮৫ কোটি টাকা ছুঁয়েছে। যা মোট বাজেটের ১৩.০৪ শতাংশ।’ উল্লেখ্য, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা আরও বাড়াতে ও সমারস্ত্রের আধুনিকীকরণে যে ফাঁক ফোঁকড় থেকে যাচ্ছে, তা পূরণ করতে এই নয়া উদ্যোগ। বলা হচ্ছে, প্রযুক্তির বিপ্লবের দুনিয়ায় দেশকে সুঠাম করতে ডিপ টেক প্রযুক্তির বড়সড় ঢাল ভারতের প্রতিরক্ষায় জরুরি। আর দেশের বিজ্ঞানীদের সমন্বয়ে তা ভারতে আনতে বহু আগে থেকেই উদ্যোগ নিয়ে নিয়েছে মোদী সরকার।