এর আগে সিএজি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় অনুদানের টাকার ব্যয়ের ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দেয়নি বাংলা। এবার সংসদে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন অভিযোগ করলেন, বিগত সময়ে ৪ বছরের এজি সার্টিফিকেট জমা দেয়নি বাংলা। এর জেরে জিএসটি ক্ষতিপূরণ মেটানো যাচ্ছে না। উল্লেখ্য, এর আগে একাধিকবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্র রাজ্যের টাকা আটকে রাখছে। এমনকী সম্প্রতি কেরল এবং কর্ণাটকের মতো অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যও এই একই সুরে অভিযোগ তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে এবার বাংলার বিরুদ্ধেই পালটা অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। (আরও পড়ুন: ১০০ দি🍬নে🐻র কাজের সব হিসেবই জমা দিয়েছে বাংলা, দাবি রিপোর্টে)
আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে কারচুপির তদন্তে ইডি, অভিযান W𒈔BCS অফিসার থেকে ব্যবসায়ীর বাড়িতে
তবে এর পরিপ্রেক্ষিতে আবার পালটা জবাব দিয়েছের রাজ্যের অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি দাবি করেন, ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এই সময়কালের জিএসটি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য যাবতীয় তথ্য কেন্দ্রের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন চন্দ্রিমা। তাঁর কথায়, 'আমরা আমাদের তরফ থেকে সব তথ্যই পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন সেটা কেন্দ্রীয় সরকার খতিয়ে দেখবে। তাদের এজি সেই নথি খতিয়ে দেখে অর্থ মন্ত্রককে তা পাঠিয়েছে কি না, সেটা আমরা তো জানি না। এই আবহে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য কী ভাবে লোকসভায় দাঁড়িয়ে বলা হয়?' (আরও পড়ুন: ১২-র ফাঁড়া কাটিয়ে ১৮-তে 'আনলাকি' ১৩, ডিএ মামলার মাঝেই ১০ মার্চ আসবে ☂বড় খবর)
আরও পড়ুন: ইতিমধ্যেই হয়েছে পরিদর্শন, নয়া এই স্টেশনের চোখ জুড়িয়ে যাওয়া ছবি প্রকাশ মেট⛄্রোর
উল্লেখ্য, জিএসটি পদ্ধতি চালুর পর থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে রাজ্যগুলি নির্🃏দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা পর্যন্ত আয় না করতে পারলে কেন্দ্রীয় সরকার তার ক্ষতিপূরণ দেবে। অবশ্য এর জন্যে নির্দিষ্ট লক্ষ্যের আয় এবং আসল উপার্জনের ফারাকের প্রমাণ স্বরূপ এজির সার্টিফিকেট লাগবে। সেই সার্টিফিকেট দিলে তবেই কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষতিপূরণ দেবে। এই আবহে কেন্দ্র দাবি করছে, বিগত সময়ের ৪ বছরের এজি সার্টিফিকেট দে♑য়নি বাংলা। তাই রাজ্যকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ দেওয়া যাচ্ছে না।
এর কয়েকদিন আগেই সিএজি রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছিল, বাংলা নাকি কেন্দ্রীয় সরকার থেকে অনুদাꦐন বাবদ আসা টাকার মধ্যে থেকে ১ লাখ ৯৪ হাজার কোটি টাকা খরচের কোনও শংসাপত্র (উটিলাইজেশন সার্টিফিকেট) দিতে পারেনি। এর জন্যেই নাকি ১০০ দিনের কাজ সহ একাধিক প্রকল্পের কেন্দ্রীয় অনুদান আটকে আছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বাংলা মোট ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৯৯ কোটি টাকা খরচের শংসাপত্র জমা দেয়নি। এর মধ্যে বাম জমানার হিসেব মেলেনি ৩৪ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার। বাকি যে ১ লাখ ৯৪ হাজার টাকার শংসাপত্র মেলেনি, তা তৃণমূল সরকারের সময়কার। এদিকে রিপোর্টে এও দাবি করা হয়েছে, এই ১ লাখ ৯৪ হাজার কোটির মধ্যে থেকে ৪৯.৫ শতাংশ অর্থের শংসাপত্র বকেয়া ২০১৮-২১, এই তিন বছরের।