প্যাকেট করা💃 নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে জিএসটি আরোপের প্রতিবাদ সিপিআই(এম) শাসিত কেরল সরকারের। বুধবার রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ছোট দোকানে বিক্রি হওয়া এমন পণ্যে জিএসটি আরোপ করবে না তারা। একই সঙ্গে 'কুদুম্ভশ্রী' (মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী)-র মতো সংগঠনগুলির উপরেও জিএসটি বসাবে না কেরল সরকার।
কไেরলের অর্থমন্ত্রী কে এন বালাগোপাল বিধানসভায় এই ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, মহামারীর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ছোট-বড় ব্যবসায়ী, ছোট দোকানদার এবং কুদুম্ভশ্রীর মতো ক্ষেত্রগুলি। তাতে ⛎অতিরিক্ত চাপ দেবে না তাঁর সরকার।
বুধবার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন খাদ্যদ্রব্যের উপর জিএসটি-র বিরোধিতা করে প্রধাꦅনমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি চিঠ🦋িও পাঠিয়েছেন বলে জানান তিনি।
'আমরা কুদুম্ভশ্রী এবং ছোট দোকানগুলি, যারা ১-২ কেজির প্যাকেট নিয়ে ব্যবসা করে, তাদের উপর কর আরোপ করতে চা🔴ই না। এতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আমাদের সমস্যা তৈরি হলেও তাতে আপত্তি নেই। আ𝕴মরা এই ছোট দোকানগুলিকে চরম দুর্দশায় ঠেলে দিতে পারি না,' বলেন তিনি।
তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, ব্র্যান্ডেড কোম্পানিগুলিকে ৫% কর দিতে হবে। কিন্তু যদি এই ছোট আউটলেটগুলি প্💟যাকেটে উল্লেখ করে যে 'তারা নিজেদের কোনও ব্র্যান্ড দাবি করছে না,' সেক্ষেত্রে কর আরোপ করা যাবে না।
'কর দেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি রয়েছে। তবে আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করতে 🌱প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,' বলেন তিনি।
তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে অসুবিধাগুলি উল্ꩲলেখ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠ🐻ি দিয়েছেন। তিনি বলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে, রাজ্যের বেশিরভাগ খুচরো আউটলেটগুলিতে এই জাতীয় প্রি-প্যাকিং একটি বহুল প্রচলিত রীতি। এটায় এই ধরনের পরিবর্তন আনলে তা তাদের এবং গ্রাহকদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
যদিও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন মঙ্গলবার নয়া জিএসটি কা💦ঠামো নিয়ে 'বিভ্রান্তি' বন্ধ করতে টুইট করেন। লম্বা থ্রেডের মাধ্যমে পুরো বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন তিনি। তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গ-সহ অবিজেপি রাজ্যগুলির সুপারিশ ও সমর্থনেই নয়া জিএসটি কাঠামো চালু হয়েছে। যদিও তাঁর কথার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের অর্💮থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ไভট্টাচার্য। তাঁর✱ কথায়, জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক অনলাইনে হয়েছিল। সেখানে অন্যান্য রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের নিজেদের মধ্যে আলোচনার ক🅠োনও সুযোগই মেলেনি। তাছাড়া ফিটমেন্ট কমিটির রিপোর্ট নিয়েও আপত্তি তুলেছিল কিছু রাজ্য।