দিল্লির তবলিগি জামাতের জমায়েত ♕নিয়ে কোনও আপত্তিকর সম্প্রচার করেনি সংবাদমাধ্যম। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে একথা জানাল কেন্দ্র। যদিও সেই জমায়েত ঘিরে সংবাদমাধ্যমে যে খবর সম্প্রচারিত হয়েছিল, তা নিয়ে ন্যাশনাল ব্রডকাস্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (এনবিএ) এবং প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার (পিসিআই) কাছে ১৫০ টি অভিযোগ জমা পড়ে🐬ছে।
জামিয়াত উলামা-ই-হিন্দের একটি আর্জি শুনছিল সুপ্রꦐিম কোর্ট। সেই আবেদনে দাবি করা হয়েছে, একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে তবলিগি সদস্যদের কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। জমায়েতে যোগদানকারীরা কীভাবে করোনাভাইরাস বিধি উপেক্ষা করেছেন এবং তাঁদের জন্যই করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে বলেও রিপোর্টে দেখানো হয়েছিল। কেন্দ্র ভবিষ্যতে ‘সেই জাতীয়’ সম্প্রচার বন্ধের জন্য ‘সংশোধনমূলক পদক্ষেপ’ করতে পারে বলে জানিয়েছে জামিয়াত।
তারই সাপেক্ষে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে হলফনামা পেশ করে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক জানিয়েছে, এরকম নির্দেশ (সংবাদমাধ্যমের মুখ বন্ধ করা) জারি করা হলে, তা সংবিধানের ১৯ (১) (এ) ধারায় বাক স্বাধীনতার অধিকারকে ভঙ্গ করবে। একইসঙ্গে সমাজে কী হচ্ছে, সে বিষয়েও মানুষের অবহিত হওয়ার যে 'স্বাধীনতা' আ♕ছে, তাও লঙ্ঘন করবে সেই ধরনের নির্দেশ। সমাজকে অবহিত করার যে অধিকার আছে সংবামাধ্যমের, তাও সেই নির্দেশের মাধ্যমে ভঙ্গ হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি হলফনামায় কেন্দ্র দাবি করেছে, ভারত সরকার এমন কোনও নির্দিষ্ট সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট পায়নি, যা কোনও আইন না নির্দেশিকা লঙ্ঘন করেছে।
সওয়াল জবাবের পর তিন বিচারপতির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘আমাদের অভিজ্ঞতা যে আদালত নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সরকার কোনও পদক্ষেপ করে না। আমরা রায় দিতে চাই। কিন্তꦆু আমাদের হাত-পা বাঁধা মনে হচ্ছে। আমরা একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থার মতামত চাই। যারা এই বিষয়ে মত দিতে পারে।’ আগামী ২৬ অগস্ট মামলাটির শুনানির দিন ধার্য করা হয়ে🀅ছে।