প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ইজജরায়েলি সংস্থা ‘এনএসও গ্রুপ’-এর সঙ্গে কোনও লেনদেন হয়নি। সোমবার রাজ্যসভায় একটি প্রশ্নের প্রেক্ষিতে এমনই দাবি করল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ‘এনএসও গ্রুপ’ হল একটি ইজরায়েলি সংস্থা যা স্পাইওয়ার ‘পেগাসাস’ তৈরি করেছে।
বাদল অধিবেশনের শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে 🎐পেগাসাস নিয়ে ‘দ্য গার্ডিয়ান’, ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’, ‘দ্য ওয়ার’-সহ ১৭ টি সংবাদমাধ্যমের একটি গোষ্ঠী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল। তখন থেকেই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। পেগাসাস নিয়ে সরকারকে আলোচনায় বসার দাবি তুলে সংসদেও পেগাসাস ‘হ্যাক’ নিয়ে হট্টগোল করতে থাকেন বিরোধীরা। উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের উভয় কক্ষ। যে অচলাবস্থা এখনও কাটেনি। বরং বাদল অধিবেশনের শেষ ꧟সপ্তাহের কার্যাধারা শুরুর আগেই বিরোধীরা বার্তা দিয়েছেন, ‘মিস্টার মোদী (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী), সংসদে এসে আমাদের কথা শুনুন।’
ইতিমধ্যে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’-কে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের উপর সরকারি নজরদারি চলছে, সেই দাবির স্বপক্ষে কোনও মজবুত ভিত্তি বা সত্যতা নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়, ‘মৌলিক অধিকার হিসেবে বাকস্বাধীনতার প্রতিজ্ঞা হল ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত্তি। আমরা সর্বদা খোলামেলা কথোপকথনের সংস্কৃতিতে জোর দিয়ে একটি অবগত নাগরিক সমাজের পক্ষে থেকেছি।’ পরে পেগাসাস 'হ্যাক'-এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈষ্ণ সংসদে দাঁড়িয়ে দাবি করেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট-সহ অতীতে এই ধরনের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে সবপক্ষ। এই অভিযোগের কোনও তথ্যগত ভিত্তি নেই।’ পুরো বিতর্কের সঙ্গে কেন্দ্র বা বিজেপির নাম জড়ানোর জন্যꦍ ছিঁটেফোটা প্রমাণও নেই বলে দাবি করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ।