জাতীয় সঙ্গীতের সময় না দাঁড়ানো বা জাতীয় সঙ্গীত চলার সময় চুপ থাকা কোনও অপরাধ নয়। এমনই রায় দিল জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্ট। আদালত বলে, এহেন কাজ করা অসম্মানজনক বটে, তবে তাকে অপরাধ বলে গণ্য করা যায় না। জম্মু কাশ্মীর হাইকোর্টের বিচারপতি বিচারপতি সঞ্জীব কুমার এই রায় দেন। জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন তৌসিফ আহমেদ ভাট নামক এক ব্যক্তি না দাঁড়ানোয় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি জানান, ভারতের সংবিধানে যে মৌলিক দায়িত্ব পালনের কথা উল্লেখ রয়েছে, সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে তা অপরাধ হয়। তবে জাতীয় সঙ্গীতের সময় না দাঁড়ানো বা জাতীয় সঙ্গীত চলার সময় চুপ থাকা দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।জাতীয় সম্মানের অপমান প্রতিরোধ আইনের ৩ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল তৌসিফ আহমেদ ভাটের বিরুদ্ধে। সরকারী ডিগ্রি কলেজে সহকারী অধ্যাপক তিনি। পুলিশ ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তৌসিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল। ভারতীয় সেনার সার্জিকাল স্ট্রাইক উজ্জাপন উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীন তৌসিফ উঠে দাঁড়াননি। তারপরই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।এদিকে এই অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই কলেজের চাকরি হারাতে হয়েছিল তৌসিফকে। তৌসিফের যুক্তি ছিল, তিনি কাউকে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বাধা দেনি বা যেখানে গান হচ্ছিল, সেখানে কোনও ঝামেলা করেননি। উভয় পক্ষের যুক্তি শোনার পরে হাইকোর্টের বিচারপতি বিচারপতি সঞ্জীব কুমার জানান, মৌলিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা এটা নয়। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী এটা কোনও অপরাধও নয়। জাতীয় জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি নিছক অসম্মান করা কোনও অপরাধ নয়। যদি কোনও ব্যক্তি ভারতীয় জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বাধা দেয়, বা যেখানে এই সঙঅগী গাওয়া হচ্ছে, সেখানে ঝামেলা সৃষ্টি করেন, তাহলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।