১-২ কোটির বিনিয়োগ নয়, একেবারে ১০০ কোটির ফান্ড নিয়ে মাঠে নেমেছে ওড়িশা সরকার। বিজু জনতা দলের সরকার ৬০টি অপ্রচলিত ক্ষুদ্র বনজ পণ্য সামগ্রী ক্রয় করার ঘোষণা করেছে। এরমধ্যে হলুদ, তেঁতুল, মহুয়া এবং শাল বীজ সহ আরও অন্যান্য পণ্য স্থানীয় জনজাতিদের থেকে রাজ্য দ্বারা নির্ধারিত ন্যূনতম সমর্থন মূল্🤪যের বিনিময়ে ক্রয় করবে। 🌜আর এই প্রকল্পের জন্য মোট ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এমনটাই ওড়িশা সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।
এদিন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক SHG-এর তত্ত্বাবধানে LBJDK(Laghu B🦄ana Jatya Drabya Kraya) প্রকল্পের ঘোষণা করেন। রাজ্যের অধীনস্থ TDCCOL বনজ পণ্য সামগ্রী (MEP) বিভিন্ন SHG-এর থেকে ২ শতাংশ কমিশনের ভিত্তিতে ক্রয় করবে।
আদিবাসী উন্নয়ন বিভাগের কর্মকর্তারা বলেছেন যে MFP সংগ্রহের পরে, অর্থ সরাসরি সুবিধা স্থানান্তর (DBT) হিসাবে সুবিধাভোগী এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাছে স্থানান্তর করা হবে। একজন বরিষ্ঠ আধিকারিক বলেন, 'নতুন আর্থিক বছর থেকে, ক্রয় ব্যবস্থা ধান সংগ্রহের মতো স্বয়ংক্রিয় হবে।' রাজ্য সরকার রায়গাদা জেলඣায় ২৫ কোটি টাকার তেঁতুল প্রক্রিয়াকরণ কারখানাও স্থাপন করবে꧃।
যদিও কেন্দ্রীয় এজেন্সি ট্রাইফেড (TRIFED) রাজ্যে ক্ষুদ্র বনজ উৎপাদনের জন্য এমএসপি (MSP) নির্ধারণ করত, যার পরে রাজ্য সংস্থা টিডিসিসিওল আদিবাসীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিল, কর্মকর্তারা বলেছেন যে প্রায় এক দশক ধরে কেন্দ্রীয় তহবিলের অভাবের কারণে প্রক্রিয়াটি বাধাগ্রস্ত হয়েছিল। বর্তমানে, রাজ্য ট্রাইফেড (TRIFED) দ্বারা নির্ধারিত MSP-তে রাজ্যের প্রায় ৩০ হাজার﷽ আদিবাসীদের কাছ থেকে MFP সংগ্রহ করবে৷
ওড়িশার কিছু জনপ্রিয় বনজ পণ্য হল তেঁতুল, মহুয়া বীজ, শাল বীজ, করঞ্জা বীজ, শাল পাতা, হলুদ, চিরঞ🦹্জি বীজ, লাক্ষা, মধু, আঠা, নিম বীজ, কুসুম বীজ, বহদা, পাহাড়ি ঝাড়ু, শিকাকাই, গুগল, বেল, নাগরমোথা, সাতবাড়ি, মধুনাশিনী ও কালমেঘ।
ইতিমধ্যে, রাজ্য মন্ত্রিসভা ওড়িশার তফসিলি উপজাতিদℱের উপজাতীয় ভাষার সংরক্ষণ ও প্রচারের জন্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের এসটি তালিকায় ১৬৯টি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্তির দাবি পুনর্ব্যক্ত করে একটি প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে। বহুভাষিক শিক্ষা (MLE) প্রোগ্রামের অধীনে রাজ্য শিক্ষা ব্যবস্থায়, রাজ্য দ্বারা স্বীকৃত সমস্ত ২১টি উপজাতীয় ভাষা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।