কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ বিরোধীদের। অক্সিজেন দিচ্ছে না, ভ্যাকসিন দিচ্ছে না, বকেয়া জিএসটি’র টাকা দিচ্ছে না, সাংসদ তহবিলের টাকা মিলছে না থেকে আরও অনেক কিছুর। এই পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে। তার মধ্যেই ইয়াস ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে বাংলা এবং ওড়িশায়। সুতরাং এরপরই উঠে আসে ক্ষতিপূরণের বিষয়। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর আর্থিক বোঝা চাপাতে চাইলেন না ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। তাই কেন্দ্রের কাছে অর্থ সাহায্যের দাবি জানালেন না তিনি। বরং শুক্রবার টুইটারে তিনি লেখেন, ‘দেশ এখন করোনাভাইরাসের অতিমারি সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে। তাই আমরা তাৎক্ষণিক আর্থিক সাহায্য চেয়ে কেন্দ্রের উপর আর্থিক বোঝা বাড়াতে চাইছি না। আমরা নিজস্ব শক্তিতেই এই সঙ্কটের মোকাবিলা করব’।নবীন পট্টনায়েকের এই টুইটে দুটি বিষয় উঠে এল। এক, কেন্দ্রের যে অর্থনৈতিক হাঁড়ির হাল তা তিনি এভাবে প্রকাশ করে দিলেন। অথচ বাহবা কুড়ালেন। দুই, এই পদক্ষেপ করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। যাতে পরে কেন্দ্রের প্যাকেজ বা ক্ষতিপূরণ পাননি বলে সোচ্চার হতে না পারেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা এমন ব্যাখ্যা করলেও আসল কারণ নবীন পট্টনায়েকই জানেন। এদিন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভুবনেশ্বরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক হয়। সেখানে এই ক্ষয়ক্ষতির জন্য কোনও অর্থ চাননি তিনি। তবে প্রধানমন্ত্রী মান রাখতে নিজে থেকেই ক্ষতিপূর্ণ বাবদ অর্থ বরাদ্দ করবেন জানিয়েছেন।উল্লেখ্য, গত সোমবার ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতির মোকাবিলায় ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশকে ৬০০ কোটি টাকা করে অর্থসাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পশ্চিমবঙ্গের জন্য ৪০০ কোটি বরাদ্দের কথাও ঘোষণা করা হয়েছিল। তখন পশ্চিমবঙ্গ কেন কম অর্থসাহায্য পাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার অবশ্য শুধু ক্ষতিপূরণের খতিয়ান প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছেন। বাংলার জন্যও অর্থ বরাদ্দের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।