এক দেশ এক নির্বাচনের পক্ষে নিজেদের মত প্রকাশ করলেন দেশের শিল্পপতি একাংশ। এই বিষযয় গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটির সঙ্গে শুক্রবার এক বৈঠক বসে বেসরকারি শিল্প সংস্থারগুলির সংগঠন কনফেডরেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ (সিআইআই)। সেই বৈঠকে সংস্থার প্র⛎তিনিধিরা এক দেশ এক নির্বাচনের পক্ষেই মত প্রকাশ করেছেন।
সংগঠনের মতে, এর ফলে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়েরই নির্বাচꦆন বাবদ ব্যয় প্রায় অর্ধেক কমবে। দেশের আর্থিক এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থারও উন্নতি হবে।
বৈঠকের পর সিআইআই -এর এক প্রবীণ সদস্য বলেন, ‘একাধিক নির্বাচন ফলে নীতি প্রণয়ণ এবং প্রশাসনিক কার্যকলাপে ব্যাঘাত ঘটে। তা ছাড়া ভোটের কাজে সরকারি আধিকারিকদের নিয়ে নেওয়ার ফলে প্রশাসনিক ক♛াজকর্মেও বাধা পড়ে। '
প্রতিনিধি দলে ছিলেন সিআইআই-এর সভাপতি আর দীনেশ এবং ডিরেক্টর জেনারেল চন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁরা উচ্চ পর্যায়ের কমিটির কাছে সংস্থার মত জানান। সংস্থাটি জানায় ২০১২ সালেও তারা একসঙ্গে সমস্ত নির্বাচন করার পক্ষে ম♉ত প্রকাশ করে।
সংগঠনটির প্রতিনিধিদের বক্তব্য,🎃 একাধিক নির্বাচনে শুধু অর্থের 'অপচয়' এর ফলে কোনও প্রকল্পের কাজও স্থগিত হয়ে থাকে। কিন্তু সেই জায়গায় একই সময়কালে একটি নির্বাচন হলে, কেন্দ্র💮 এবং রাজ্যের খরচ অর্ধের কমবে। এছাড়া উৎপাদন ক্ষেত্রে ক্ষতিও অনেকটা এড়ানো যাবে।
একটি নির্বাচন হলে কী ভাবে খরচ কমতে পারে তার সব দিক খতিয়ে দেখেছে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। সিআ🍎ইআই-এর প্রতিনিধি আরও জানিয়েছে, যদি প্রতি পাঁচ বছর অন্তর একটি করে নির্বাচন হয় বা আড়াই বছরের ব্যবধানে দুটি নির্বাচন একযোগে হয়, তবে তার প্রভাব দেশের অর্থনীতি এবং প্রশাসনের কার্যাবলীতে পড়বে।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে এই উচ্চ পর্যায়ের কমিটি যোধপুরের একটি বেসরকারি হোটেল কমিটি পঞ্চম সরকারি বৈঠকটি করেন। যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান এন কে সিং, লোক🐈সভার প্রাক্তন মহা𒁃সচিব ডঃ সুভাষ সি কাশ্যপ এবং প্রাক্তন চিফ ভিজিলেন্স কমিশনার সঞ্জয় কোঠারি।
দিল্লি যাচ্ছেন মমতা
এক দেশে এক নির্বাচন সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে আগামী সোমবার দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগে রোড রোডে ধর্নায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী।ꦺဣ সেখানেই তিনি বলেন, 'আমাকে একদিনের জন্য দিল্লি যেতে হবে। তবে রাজনীতির জন্য নয়। 'ওয়ান নেশন ওয়ান ইলেকশন' নিয়ে ওরা আমার মত জানতে চায়। তাই আমি ৫ তারিখ সন্ধেয় যাব, ৬ তারিখ বেলা ২ টোয় মিটিং করব। তার পর সন্ধেয় ফিরে আসব। কারণ ৮ তারিখ আমার বাজেট আছে। '