আজ থেকে ১৭ বছর আগে অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইন প্রণীত হয়। তার পর থেকে এর অধীনে ৫,৪২২ টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে কত জন শাস্তি পেয়েছে জানেন? মাত্র ২৩ জন! সোমবার সংসদে কেন্দ্র এই তথ্য দিয়েছে।কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী লোকসভায় একটি লিখিত প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, '৩১ মার্চ ২০২২ পর্যন্ত, ইডি PMLA-এর অধীনে ৫,৪২২ টি কেস রেকর্ড করেছে। প্রায় ১,০৪,৭০২ কোটি টাকা এবং ৯৯২টি মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এর ফলে ৮৬৯.৩১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং ২৩ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।'PMLA পুরো অর্থে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট ২০০২ সালে প্রণীত হয়। ১ জুলাই ২০০৫-এ এটি লাগু হয়। এর অধীনে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ED) অভিযুক্তদের বিবৃতি রেকর্ড করার এবং সেটি ব্যবহার করে তাদের চার্জশিট দাখিল করার জন্য ক্ষমতা দেওয়া হয়।PMLA এবং FEMA (ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট)-এর অধীনে গত ১০ বছরের ডেটাও বেশ লক্ষ্যণীয়। ২০১২-১৩ থেকে ২০২১-২২-এর মধ্যে এর অধীনে মোট ৩,৯৮৫টি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করো হয়েছে। অন্যদিকে দেওয়ানী আইনের অধীনে ২৪,৮৯৩টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।২০২১-২২ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানি লন্ডারিং এবং বৈদেশিক মুদ্রা লঙ্ঘনের কেস রয়েছে। এই সময়পর্বে ২,১৮০টি পিএমএলএ এবং ৫,৩১৩টি ফেমা অভিযোগ দায়ের হয়েছে।১৯৭৩ সালের ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট (FERA) বাতিলের পর ১৯৯৯ সালে FEMA আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল।এর পর থেকে বহু ব্যক্তি এবং সংস্থা পিটিশনের মাধ্যমে পিএমএলএ-এর বিধানগুলিকে চ্যালেঞ্জ করেছে। আইনের সপক্ষে, কেন্দ্র যুক্তি দিয়েছে যে, অর্থ পাচারকে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক শক্তির পক্ষে একটি গুরুতর চিন্তার বিষয়। ফলে এই আইনের মাধ্যমে সেটি মোকাবিলা করার একটি কঠোর ব্যবস্থার চেষ্টা করা হয়েছে।