বর্তমানে মু🦹দ্রাস্ফীতির 'আক্রমণ' এবং আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন পাকিস্তান। দেশটির জাতীয় বৈদ্যুতিক শক্তি নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (নেপ্রা) প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১.৬৮ পাকিস্তানি রুপি বৃদ্ধি করায় অতিরিক্ত অর্থনৈতিক চাপের মুখে সেদেশের সাধারণ জনগণ। উল্লেখযোগ্যভাবে, পাকিস্তানে পেট্রল, ডিজেল এবং চিনির মতো অন্যান্য পণ্য আরও ব্যয়বহুল হওয়ার কারণেও এই সংকট দেখা দিয়েছে। এর জেরে গত বুধবার ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকার পাকিস্তানি মুদ্রায় ১২০ বিলিয়ন মূল্যের ভর্তুকি প্যাকেজ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে। এই প্যাকেজ সেই 'দেশের সর্বকালের বৃহত্তম' ভর্তুকি প্যাকেজ। এই আবহে বিরোধী নেতারা অভিযোগ করেছে, ইমরানের সরকার মরিয়া বলেই এমন একটি পদক্ষেপ নিয়েছে।
পাকিস্তানের জিও নিউজের খবর অনুযায়ী, নেপ্রা বেসিক ট্যারিফের অধীনে গার্হস্থ্য গ্রাহকদের জন্য প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১.৬৮ টাকা বাড়িয়েছে। অপরদিকে বাণিজ্যিক এবং অন্যান্য বিভাগের জন্য প্রতি 🅘ইউনিট বিদ্যুতের দাম ১.৩৯ বাড়ানো হয়েছে। নতুন হার ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। তবে যে গ্রাহকরা মাসে মাত্র ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন, তাঁদের এই নতুন হারে বিদ্যুতের দাম দিতে হবে না। প্রতিবেদন অনুসারে, সাম্প্রতিক বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পর সরকার প্রতি বছর ১৩৫ বিলিয়ন টাকা লাভের আশা করছে।
কয়েকদিন আগেই পেট্রোলিয়ামের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদ্যুতের দাম বাড়ায় অবশ্য পাকিস্তানের আমজনতার নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। অর্থ মন্ত্রকের একটি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ৮ টাকা ৩ পয়সা বৃদ্ধির জেরে সেদেশে পেট্রলের নতুন দাম প্রতি লিটারে ১৪৫ টাকা ৮২ পয়সা হয়েছে। ৫ নভেম্বর থেকে এই বর্ধিত মূল্๊য কার্যকর হয়েছে।
এর আগে বুধবার, ইমরান খান ১২০ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি মূল্যের ভর্তুকি প্যাকেজ ঘোষণা করেন। মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব থেকে সেদেশের ১৩ কোটি মানুষকে সহায়তা করার জন্য ঘি, আটা এবং ডালের উপর ৩০ শতাংশ ভর্তুকি প্রদান করার ঘোষণা করা হয়। ইমরান খানের ঘোষণার পরপরই বিরোধী নেতারা এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেন এবং এটিকে 'সর🌼কারের ব্যর্থতার স্বীকৃতি' এবং 'রসিকতা ছাড়া কিছুই নয়' বলে অভিহিত করেন।