নিজে জেলে। দলের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল নির্বাচনী প্রতীক। তা সত্ত্বেও নওয়াজ শরিফের পিএমএলএন এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জরদারির পিপিপি-কে বহু পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন ইমরানের সৈনিকরা। ইমরানের দলের সমর্থিত প্রার্থীরা প্রায় ১০০-র কাছাকাছি আসনে জয় নিশ্চিত করেছেন সরকারি হিসেবেই। এই আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইমরান খানের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ভিত্তিক একটি ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশিত হয়েছিল। পিটিআই কর্মী ও সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানান ইমরান। এরই সঙ্গে 'সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়া' নওয়াজ শরিফকে তোপ দাগেন তাঁর 'বিজয় ভাষণ'-এর জন্য। তবে শেষ পর্যন্ত হয়ত হারতে হবে ইমরান খানকে। যেভাবে আগেরবার ইমরানকে গদিচ্যুত করতে মুসলিম লিগ-নওয়াজ এবং পিপিপি জোট বেঁধেছিল। এবারও হয়ত সেটাই হতে চলেছে। (আরও পড়ুন: ভারতℱকে ইতিবাচক বার্তা 'জয়ী' নওয়াজ শরিফের, পাক নে𝔍তার কথায় 'গর্জন' সমর্থকদের মধ্যে)
আরও পড়ুন: নওয়াজকে তোপ, অভিনব বার্তায় 'জয় ঘোষণা' জেলবন্দি🌟 ইমরান খানের, কী বললেন 'কাপ্তান'?
রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের পরবর্তী সরকার গঠনের জন্য🏅 পিপিপি-র বিলাওয়াল ভুট্টো এবং তাঁর বাবা আসিফ আলি খান জরদারির সঙ্গে কথা বলেছেন নওয়াজের ভাই তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। উল্লেখ্য, এর আগে ইমরান খানকে গদিচ্যুত করার পরে যে সরকার গঠিত হয়েছিল, তার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শাহবাজ। আর সেই সরকারের বিদেশমন্ত্রী ছিলেন বিলাওয়াল। এই আবহে দেশকে অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ভাবে স্থিতিশীলতা দিতে ফের দুই দল হাত মেলাতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে শুধু পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার নয়, পঞ্জাবের প্রাদেশিক সরকারও জোট বেঁধে গঠন করবে এই দুই দল।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের ৩৩৬ আসন বিশিষ্ট সংসদের ২৬৬টি আসনে🌄 নির্বাচন হয়েছিল ৮ ফেব্রুয়ারি। সেই দেশের সংসদের বাকি ৭০টি আসন মহিলা এবং সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত। এই আবহে পাকিস্তানের ম্যাজিক ফিগার হল ১৩৮। এখনও পর্যন্ত যে ২৫০ আসনের ফল সামনে এসেছে, তাতে পিএমএল-এন জয়ী ৭১ আসনে, ভুট্টোর পিপিপি জয়ী ৫৩ আসনে, পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী ৯১ আসনে, অন্যান্যরা জয়ী ৩৫টি আসনে। এদিকে খাতায় কলমে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা আদতে 'নির্দল'। এই পরিস্থিতিতে নওয়াজ ও বিলাওয়ালের দলের সম্মিলিত সংখ্যা ১৩৮ পার না করলেও নির্দলদের নিয়ে তারা সরকার গঠন করতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।