আর্থিক সংকটে ভুগতে 💞থাকা পাকিস্তান এবার জ্বালানি বাঁচাতে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে। এবার থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বাঁচাতে দেশের শপিং মলগুলিকে আগেভাগে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেহবাজ শরিফের সরকার। মাত্র একমাসের আমদানির সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে পাকিস্তানের কাছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে সিলিন্ডারের বদলে প্লাস্টিকের ব্যাগে করে ভরে গ্যাস বিক্রি হচ্ছে সেই দেশে। যা দেখে আতকে উঠেছেন অনেকেই। এই আবহে আর্থিক অবস্থা পুনরুদ্ধার করতে এবং জ্বালানি বাঁচাতে 'ন্যাশনাল এনার্জি কনজারভেশন প্ল্যানে' সম্মতি দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের ক্যাবিনেটে। এই পরিকল্পনার আওতায় মার্কেট, শপ𒁃িং মল ও বিয়েবাড়ি আগেভাগে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
পাকিস্তানের ক্যাবিনেটের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আমদানি করা তেলের ওপর নির্ভরশীল হলে চলবে না। জ্বালানি আমদানি কমাতে ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল চালু করা হবে বলে জানান পাকিস্তানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী। মন্ত্রিসভার বৈঠকটি দিবালোকে হয়েছিল। বৈঠকের সময় ঘরের পাখা, বাতি জ্বালানো হয়নি কোনও। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ এই বিষয়ে বলেন, 'বাজার, শপিং মল এবং বিয়েবাড়ি আগে বন্ধ করে দিলে জ্বালানি বাবদ ৬ হাজার কোটি টাকা (পাকিস্তানি রুপি) সাশ্রয় হবে।' এছাড়া সেদেশে কনিক্যাল গিজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানিয়েছেন পাক মন্ত্রী। এদিকে জানানো হয়েছে, নয়া নীতি অনুযায়ী, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই মাস বাল্ব উৎপাদন বন্ধ থাকবে সেদেশে। কমানো♒ হবে স্ট্রিট লাইটের ব্যবহার। তাছাড়া সরকারি বিল্ডিং ও অফিসগুলিতেও বিদ্যুতের ব্যবহার কমানো হবে। বিদ্যুৎ বাঁচাতে কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের নির্দেশ দেওয়া হবে।
এর আগে সম্প্রতি জ্বালানি সংকটে পাকিস্তানের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগাড় হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে অনেক পণ্যবাহী ট্রেন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি রেল। করাচি ও লাহোরে বেশ কয়েকটি মালগাড়ি দাঁড়ি থাকে বহুদিন। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সিদ্ধান্তহীনতার কারণে দেশের অর্থনীতির আজ এই হাল বলে মত বিশ্লেষকদের। এরই মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বন্যায় ভুগেছে পাকিস্তান। যাতে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে সেই দেশে। ঘরোয়া উৎপাদনের ৫.৩ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে সেই দেশে। রান্নার গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের সংকটে ভুগছে সেদেশের নাগরিকরা। এই আবহে আইএমএফ সহ বহু আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং দেশ পাকিস্তানকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছ൲ে। তবে আইএমএফ এক শর্তে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছে। ১.২ বিলিয়ন ডলার পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়ে আইএমএফ জানিয়েছে, অর্থ মন্ত্রক এবং ফেডারেল বোর্ড অফ রিজার্ভের কাজে খুশি নয় তারা। এখনও পর্যন্ত পাকিস্তান মোট ৭ বিলিয়ন ডলা ঋণ নিয়েছে আইএমএফ থেকে। জ্বালানি ও অর্থ সংকটে ভুগতে থাকা পাকিস্তান ঋণের বোঝাতেও ঝুঁকে পড়েছে।