অর্থনৈতিক ভাবে ধুকছে পাকিস্তান। এই আবহে এবার কোপ পড়ল পাক মন্ত্রীদের সুযোগ সুবিধায়। সরকারের তরফে গতকাল জানিয়ে দেওয়া হল, পাঁচতারা হোটেলে আর থাকতে পারবেন না পাকিস্তানি মন্ত্রীরা। শুধু তাই নয়, খরচ কমাতে বিমানের বিজনেস ক্লাসের টিকিটও কাটতে পারবেন না পাকিস্তানি মন্ত্রীরা। এদিকে পাকিস্তনি মন্ত্রীদের বেতন ও ভাতাতে কাটছাঁট করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে রিপোর্টে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের কাছে হাত পেতেছে শেহবাজের সরকার। তবে তাও নিস্তার পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত নয় পাক সরকার। (আরও পড়ুন: আবಌিষ্কৃত ২০০০ সাল পুরোꦦনো 'ডিলডো', চরম সুখ পেতে মহিলারা ব্যবহার করতেন এই সেক্সটয়)
এদিকে সম্প্রতি দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে ইতিমধ্যেই মিনি বাজেট পেশ করেছে পাকিস্তান। নয়া বাজেটে আই🍒এমএফ-এর 'শর্ত' মানতে আমজনতার ওপরে করের বোঝা চাপিয়েছে পাক সরকার। বাড়ানো হয়েছে পেট্রোল, ডিজেলের দাম। এই আবহে গত বুধবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জানান, এবার মন্ত্রী ও সরকারি পরামর্শদাতাদের ভাতা ও যাতায়াতের খরচে কাটছাঁট করা হবে। এদিকে পাক মন্ত্রীদের দামি দামি গাড়ি ব্যবহার, বিদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিমানের বিজনেস ক্লাসের টিকিট কাটার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এর ফলে সরকারের মোট ২০০ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি সাশ্রয় 🐲হবে। ভারতীয় মুদ্রায় তা প্রায় ৬০০ কোটিরও বেশি। সরকারের দাবি, সকল মন্ত্রীরা স্বেচ্ছায় এই নিয়ম মানতে রাজি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪-এ হোয়াইট হাউজ দখলের দৌড়ে স💮ামিল ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিবেক রামাস্বামী, কে তিনি?
উল্লেখ্য, দেশের হাল ফেরাতে আইএমএফ-এর থেকে ১ বিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্য চেয়েছে পাকিস্তান। তবে সেই সংক্রান্ত চুক্তি এখনও কার্যকর হয়নি। আলোচনা এখনও চলছে। আইএমএফ-এর শর্ত মানার চেষ্টা করছে পাকিস্তান। তবে আইএমএফ-এর শর্ত নিয়ে যে পাক সরকারের মন্ত্রীদের মধ্যে অস্বস্তি রয়েছে, তা বারবার প্রকাশ্যে এসেছে।🤡 তবে তাও দেশকে বাঁচাতে আইএমএফ-এর দিকেই তাকিয়ে শেহবাজ। এই কারণেই যাবতীয় শর্তও মেনে নিতে রাজি তারা। এই আবহে পাক প্রধানমন্ত্রী জানান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সরকারি আধিকারিকদের ১৫ শতাংশ খরচ কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাক প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, শীঘ্রই আইএমএফের তরফে আর্থিক সাহায্য পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই সপ্তাহেই পাকিস্তানের সঙ্গে আইএমএফের চুক্তি নিয়ে আলোচনা শেষ হওয়ার কথা। এরপরই আইএমএফ সিদ্ধান্ত নেবে যে পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়া হবে কি না।