শ্রীলঙ্কার মতোই করুণ অর্থনৈতিক দশা পাকিস্তানের। হাল এতই খারাপ যে ⭕চা আমানির চাপও নিতে পারছে না পাকিস্তান। এই আবহে পাকিস্তানের উচ্চ শিক্ষা কমিশন এখন চা আমদানিতে ব্যয় কমানোর জন্য একটি অভিনব পরামর্শ দিয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপাচার্যদের 'লস্যি' এবং 'ছাতু'র মতো স্থানীয় পানীয় খাওয়ার প্রচার করতে বলেছে কমিশন।
এক সপ্তাহ আগেই পাক মন্ত্রী এহসান ইকবাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেশবাসীর কাছে আর্জি জানান যাতে দেশের মানুষ চা এক দুই কাপ কম পান করেন। তিনি বলেন, যেহেতু সেদেশ চা আমদানি করে, তাই যদি দেশবাসী এক দুই কাপ করে রোজ চা কম পান করেন, তাহলে চা আমদানির খরচ বেঁচে যাবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান ২০২১-২২ আর্থিক বছরে ৮৩.৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চা কিনেছে। তিনি বলেন, যতদিন না পাকিস্তান নিজের দেশে চা উৎপাদনে সক্ষম হচ্ছে বা স্বনির্ভরতার পথে হাঁটছে ততদিন দেশবাসী চা ൲পান কম করলে তা পাকꦦ অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক হবে।
এই আবহে উচ্চ শিক্ষা কমিশনের বক্তব্য, লস্যি এবং ছাতুর প্রচার করলে কেবল কর্মসংস্থানই বাড়াবে না, দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে জনসাধারণের উপার্জনের নয়া পথও তৈর✅ি হবে। উচ্চ শিক্ষা কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকটের কথা উল্লেখ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে 'নেতৃত্বের ভূমিকা' নিতে আহ্বান জানান। পাশাপাশি নিম্ন আয়ের গোষ্ঠীগুলির পুনরুত্থানের জন্য উদ্ভাবনী উপায় নিয়ে ভাবতে বলেন তিনি।