সকল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পুরনো পেনশন প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। এমনই ঘোষণা করলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। অর্থাত্ যাঁরা ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তারপর সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁরাও পুরনো পেনশন প্রকল্পের আওতায় আসবেন।বুধবার বাজেট পেশের সময় গেহলট বলেন, ‘আমরা সবাই জানি যে যদি সরকারি কর্মচারীরা নিজেদের ভবিষ্যতের বিষয়ে নিশ্চিত হন, তবেই তাঁর ভালো প্রশাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবেন। তাই যে কর্মচারীরা ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তারপর চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের পুরনো পেনশন প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসার প্রস্তাব পেশ করছি।’ যে নিয়ম আগামী অর্থবর্ষ (২০২২-২৩) থেকে কার্যকর হতে চলেছে। ন্যাশনাল পেনশন স্কিম (এনপিএস) কী?২০০৪ সালে ন্যাশনাল পেনশন স্কিম (এনপিএস) চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যাঁরা ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তারপর চাকরি শুরু করেছেন, তাঁরা নয়া পেনশন কাঠামোর আওতায় পড়েন। তবে কোনও রাজ্যে ন্যাশনাল পেনশন স্কিম চালু করা হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে সংশ্লিষ্টি রাজ্য সরকার।এনপিএসের আওতায় প্রত্যেক সরকারি কর্মচারীকে একটি 'পার্মানেন্ট রিটায়ারমেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বর' দেওয়া হয়। বাধ্যতামূলকভাবে বেতনের ১০ শতাংশ অর্থ দিতে হয় তাঁদের। সেইসঙ্গে সরকারও অর্থ প্রদান করে। আগে যা ছিল ১০ শতাংশ। ২০১৯ সালে বাড়িয়ে ১৪ শতাংশ করা হয়েছে। অবসরের পর সেই জমানো অর্থের ৬০ শতাংশ একলপ্তে তুলতে পারবেন কর্মচারীরা। সরকারি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রিত এবং নথিভুক্ত বিমা সংস্থা থেকে অ্যানুইটি কেনার জন্য তাঁকে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। সেই অ্যানুইটির উপর যে সুদ পাওয়া যায়, তাই মাসিক পেনশন হিসেবে পাবেন অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। অর্থাত্ নয়া পেনশন প্রকল্পের ক্ষেত্রে বাজারের অবস্থা গুরুত্বপূর্ণ হয়। পুরনো এবং নয়া পেনশন প্রকল্পের মধ্যে কী পার্থক্য আছে?কত টাকা জমানো হয়েছে, কত বছরে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, কী ধরনের বিনিয়োগ করা হয়েছে, বিনিয়োগ থেকে কত আয় হয়েছে - এই সমস্ত বিষয়গুলির উপর নয়া পেনশন প্রকল্প নির্ভর করে। সেখানে পুরনো ব্যবস্থায় শেষ পাওয়া বেতনের ৫০ শতাংশ পেনশন পাওয়া যায়। যা নির্ধারিত ছিল। সেইসঙ্গে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আছে।সেই পরিস্থিতিতে একাংশের বক্তব্য, পুরনো পেনশন প্রকল্পে কোনও ঝুঁকি নেই। নয়া পেনশন প্রকল্পে ঝুঁকি আছে। যদিও অপর অংশের বক্তব্য, ন্যাশনাল পেনশন স্কিম যে বাজার-নির্ভর, তা ঠিক। কিন্তু দীর্ঘকালীন ক্ষেত্রে তাতে বেশি লাভবান হবেন কর্মীরা।