উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউয়ের বাঙালি টোলা এলাকায় কুকুরের আক্রমণে মালকিনের মৃত্যুর একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। তথ্য অনুসারে, বাঙালি টোলা এলাকায় বসবাসকারী ৮০ বছর বয়সি এক মহিলা তাঁর পোষা কুকুরের দ্ব📖ারা গুরুতর জখম হন। পরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। জানা গিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর কুকুর প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত পিটবুলের কাম꧂ড়ে চরম পরিণতি হয় বৃদ্ধার।
জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার পিটবুল জাতের একটি কুকুর ছিল। সেই পোষ্য কুকুরই মহিলাকে গুরুতর ভাবে আহত করে। গুরুতর অবস্থায় হ❀াসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সেই বৃদ্ধাকে। সেখান থেকে তাঁকে ট্রমা সেন্টারে রেফার কর✱া হয়। ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বাঙালি টোলার বাসিন্দা সুশীলা ত্রিপাঠি বাড়িতে পিটবুল ও ল্যাব্রাডর প্রজাতির দুটি কুকুর রেখেছিলেন। সুশীলা কুকুর দুটিকে খাবার দিতেন এবং তাদের সাথে খেলতেন। কুকুর দুটি মহিলার ছেলে অমিত ত্রিপাঠীর ঘরে থাকত। মঙ্গলবার কুকুরটি খোলা ছিল। ভোর পাঁচটার দিকে অমিত দেখল পিটবুল জাতের একটি কুকুর তাঁর মাকে আঁচড়াচ্ছে।
পিটবুলটি তাঁর মায়ের পেট এবং মুখ খারাপভাবে কামড়ে দিয়েছিল। তাড়াহুড়ো করে সে তাঁর মাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাঁকে ট্রমা সেন্টারে ꩲরেফার করা হয়। কিন্তু ট্রমা সেন্টারে মায়ের মৃত্যু হয়। পিটবুলকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক ধরনের কুকুর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অনেক দেশে পিটবুলের বংশবৃদ্ধিও নিষিদ্ধ। পিটবুলরা আচরণে বেশ হিংস্র হয় তাই অনেক দেশে তাদের বড় করা নিষিদ্ধ। ভারতে, বিশেষ করে রাজস্থানে, লোকেরা পিটবুলকে পুষে থাকে। তবে পিটবুল জাতের কুকুর রাখা কতটা বিপজ্জনক হতে পারে তার সর্বশেষ উদাহরণ এটি।