গতবছরই ডিসেম্বরই দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি তেজস্বী সূর্য বিমানের ইমারজেন্সি গেট খুলে দিয়েছিলেন। কয়েকদিন আগেই সেই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। তবে নিজের কাজের জন্য কജ্ষমা চেয়ে নিয়ে সহযাত্রীদের চিঠি লিখেছিলেন বলে দাবি করেন সূর্য। বিরোধীরা এই নিয়ে সোরগোল তুললেও খোদ অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিষয়টিকে হালকা ভাবে নিয়েছিলেন। এই সব বিতর্কের মাঝেই আবারও বিমানের ইমারজেন্সি গেলট খোলಞার চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক বিমান যাত্রীর বিরুদ্ধে। আর এবার বিমানটি মাঝ আকাশে ছিল। ইন্ডিগোর নাগপুর-মুম্বই উড়ানে ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে। বিমানটি পরে সুরক্ষিত ভাবে অবতরণ করে মুম্বই বিমানবন্দরে। এরপর অভিযুক্ত যাত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ইন্ডিগোর এক সিনিয়ার কেবিন ক্রু-র অভিযোগের ভিত্তিতে যাত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। ৬ই-৫২৭৪ উড়ানে থাকা এক যাত্রী মাঝ আকাশেই বিমানের ইমারজেন্সি গেট খোলার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। উড়ানটি ১১টা ৫ মিনিটে নাগপু🤡র ছাড়ে। ১২টা ৩৫ মিনিটে সেটা মুম্বইয়ে অবতরণ করে। অবতরণের একটু আগে ইন্ডিকেটরে দেখায় যে কেউ একজন ইমারজেন্সি গেট খোলার চেষ্টা করছেন। এরপরই কেবিন ক্রু 🍨সদস্যরা ছুটে যান ইমারজেন্সি গেটের কাছে। সেখানে গিয়ে দেখেন, এক যাত্রী ইমারজেন্সি গেট খোলার চেষ্টা করছেন। তখন সেই যাত্রীকে আটকান বিমানকর্মীরা।
এরপর গোꦇটা ঘটনার কথা পাইলটকে জানানো হয়। পাইলটের সঙ্গে আলো♔চনা করে অভিযুক্ত যাত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেন ইন্ডিগোর বিমানকর্মীরা। পুলিশ জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩৩৬-এর অধীনে অন্যদের জীবন বা ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিপন্ন করার জন্য অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি ১৯৩৭ সালের বিমান বিধির ধারা ২৩(১)(বি)-এর অধীনেও একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। পুলিশ বিমানকর্মীদের বয়ান রেকর্ড করেছে।