করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার হ্রাস 🎃করতে সাহায্য করেনি প্লাজমা থেরাপি। এমন তথ্যই উঠে এল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) একটি গবেষণা💯য়।
করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপির কার্যকারিতা খতিয়ে দেখতে দেশের ১৪ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ২৫ টি শহরে꧂র ৩৯ টি হাসপাতালে সেই গবেষণা চালানো হয়েছিল। তার মধ্যে ২৯ টি ছিল সরকারি হাসপাতাল। বাকিগুলি ছিল 𝓡বেসরকারি হাতে।
আইসিএমআরের তরফে জানানো হয়েছে, গত ২২ এপ্রিল থেকে ১৪ জুলাই হাসপাতালে ভরতি ১,২১০ জন রোগীর (মাঝারিমানের অসুস্থতা এবং করোনা পজিটিভ) উপর সেই স্ক্রিনিং চালানো হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে এলোমেলোভাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল। কাউকে আবার রাখা হয়েছিল ‘ইন্টারভেনশন আর্ম’ বা ‘কন্ট্রো🌄ল আর্ম’-এ।
সেই গবেষণায় জানানো হয়েছে, গুরুতর করোনার ক্ষেত্রে উন্নতি বা মৃত্যু কমানোর সঙ্গে প্লাজমার যোগ নেই। আগেভাগে দাতা ও অংশগ্রহণকারীদের অ্যান্টিবডির মাত্রা (অ্যဣান্টিবডি টিটার) কমানোর বিষয়টি পরিমাপের মাধ্যমে ক꧑রোনার মোকাবিলায় প্লাজমার ভূমিকা আরও স্পষ্ট হতে পারে। অ্যান্টিবডি টিটার হল এক ধরনের রক্ত পরীক্ষা, যা রক্তে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি এবং মাত্রা মূল্যায়ন করে। শরীরে প্রবেশকারী অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে কিনা, তা জানতে সেই পরীক্ষা করা হয়।
গবেষণায় জানানো হয়েছে, যাঁরা ‘ইন্টারভেনশন আর্ম’-এ ছিলেন, তাঁদের ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ২০০ মিলিমিটারের দু'টি ডোজ দেওয়া হয়েছিল। সঙ্গে সর্বোচ্চ মানের পরিষেবা প্রদান করা হয়েছিল। প্রাপ্যতার উপর নির্ভর করে দু'জন পৃথক দাতার থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল দুটি প্লাজমা ইউনিট। আইসিএমআরের তরফে বলা হয়েছে, ‘প্লেসিড ট্রায়ালের (প্লাজমা থেরাপি) পরীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে যে মাঝারি মাত্রায় অসুস্থ করোনা রোগীদের সর্বোচ্চ ম𒈔ানের দেখভালের পরও ২৮ দিনের মৃত্যুর হারে কোনও পার্থক্য বা গুরুতর অসুস্থতা♉র ক্ষেত্রে কোনও উন্নতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না।’